৬ ওভারে ৩৫ রানকেই দায় দিচ্ছেন গিল

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ
৬ ওভারে ৩৫ রানকেই দায় দিচ্ছেন গিল
বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন বিজয়কুমার বৈশাখ, বিসিসিআই
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
জস বাটলারকে সঙ্গ দেয়ার পাশাপাশি ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলতে নেমেই ঝড় তোলেন শেরফান রাদারফোর্ড। ১৪ ওভার শেষে গুজরাট টাইটান্সের রান ১৬৯। ম্যাচ জিততে হলে শেষ ৩৬ বলে ৭৫ রান করতে হতো তাদের। এমন সমীকরণের সময় বিজয়কুমার বৈশাখের হাতে বল তুলে দেন শ্রেয়াস আইয়ার। পেসার আর্শদীপ সিংয়ের পরামর্শে একের পর এক ওয়াইড ইয়র্কার দিতে থাকেন তিনি।

দুর্দান্ত সব ওয়াইড ইয়র্কারে সাফল্য পেয়েছেন বিজয়কুমার। প্রিয়াংশু আর্শের ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে নেমেই নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। পরের ওভারে মার্কো জানসেন দিয়েছেন ৮ রান। ইনিংসের ১৭তম ওভারে একের পর ওয়াইড দিয়েছেন বিজয়কুমার। মূলত রাদারফোর্ডকে টেক্কা দিতেই প্রতি বলই করেছেন ওয়াইড ইয়র্কার। 

তিনটা ওয়াইড দেয়ার পরও সেই ওভারে ৫ রানের বেশি খরচ করেননি বিজয়কুমার। যখন ওভারপ্রতি ১২.৫ রান প্রয়োজন তখন ১৫, ১৬ এবং ১৭ এই তিন ওভারে মিলে গুজরাটের দুই ব্যাটার বাটলার ও রাদারফোর্ড মাত্র ১৮ রান নিতে পেরেছেন। ২৪৩ রান তাড়ায় ২৩২ রান করেও তাই ১১ রানে হারতে হয়েছে গুজরাটকে। মাঝের তিন ওভারের মতো প্রথম তিন ওভারেও দ্রুত রান তুলতে পারেননি তারা। 

সাই সুদর্শন ও শুভমান গিল মিলে সেই তিন ওভারে মাত্র ১৭ রান করেছেন। অর্থাৎ প্রথম ও মাঝের মিলে ৬ ওভারে ৩৫ রান করেছে গুজরাট। গিল মনে করেন, তারা সেখানেই ম্যাচ হেরে গেছেন। এ ছাড়া বোলিং ইনিংসের শেষের দিকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি রান খরচা করার মূল্যও দিতে হয়েছে তাদেরকে।

ম্যাচ শেষে গিল বলেন, ‘আমরা যখন ব্যাটিং এবং বোলিং করেছি তখন আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম। ইনিংসের শেষের দিকে আমরা অনেক বেশি রান খরচা করেছি। মাঝের সেই তিন ওভারে আমরা ১৮ রানের মতো করতে পেরেছি। এবং প্রথম তিন ওভারেও খুব বেশি রান করতে পারিনি। আমাদেকে এসবের মূল্য দিতে হয়েছে।’

পাশাপাশি ওই সময় ইয়র্কারে রাদারফোর্ড ও বাটলারকে আটকে রাখা বিজয়কুমারের প্রশংসাও করেছেন গিল। গুজরাটের অধিনায়ক বলেন, ‘১৫ ওভার পর্যন্ত বেঞ্চে বসে থেকে তারপর ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে এসেই এমন ইয়র্কার বোলিং করা সহজ নয়। টানা ইয়র্কার বোলিংয়ের জন্য তাদেরকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’

আরো পড়ুন: শুভমান গিল