মাঠের ক্রিকেটে প্রভাব ফেলবে না ১৬ কোটির চাপ, দাবি মরিসের

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আরো পড়ুন

চেন্নাইকে হারিয়ে জিতে শেষ করল রাজস্থান

২০ মে ২৫

২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ডাক পান ক্রিস মরিস। এরপর সময় গড়িয়েছে অনেক। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে বর্তমানে অনিয়মিত এই পেসার। তবে দেখতে দেখতে পঞ্চমবারের মতো আইপিএল খেলতে যাচ্ছেন মরিস। সর্বশেষ নিলামে রেকর্ড গড়া মূল্যে ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। 

মরিসকে পেতে ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ রূপি গূনতে হয়েছে রাজস্থানকে। আইপিএল ইতিহাসে এর আগে এত দামে কোন ক্রিকেটারকে কেনার নজির নেই। এই টুর্নামেন্টের সবথেকে দামী খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামতে যাচ্ছেন তিনি। তবে আকাশচুম্বী এই প্রাইস ট্যাগ মাঠের খেলায় কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রোটিয়া এই পেসার। আইপিএল শুরুর আগে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

মরিসকে দলে পেতে নিলামের টেবিলে রীতিমতো কাড়াকাড়ি শুরু করেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে এই ক্রিকেটারকে নিজেদের করে নেয় রাজস্থ্যান। তাঁর প্রতি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর এই আগ্রহ অনেক বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলে ধারণা মরিসের।

এ প্রসঙ্গে মরিস বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, যখন কেউ আপনার জন্য মোটা অঙ্কের মূল্য পরিশোধ করতে প্রস্তুত, তার মানে সে আপনাকে দলে চায় এবং আপনার পরিসেবা খুবই মূল্যবান। তাই হ্যাঁ, এটা আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।’

পেস বোলার হিসেবে ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে চলে এসেছেন মরিস। এই সময়ে এসে আইপিএল নিলামে এত দাম পাবেন তা আশা করেননি খোদ এই ক্রিকেটারও। এমন দামের পর রয়্যালসের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বটা মরিসকেই দিতে হবে। তবে তাঁর ধারণা মাঠের খেলাটাই মূখ্য, প্রাইস ট্যাগ নয়। প্রোটিয়া ক্রিকেটার জানিয়েছেন, মাঠের খেলায় এসব কিছুই প্রভাব ফেলতে পারবে না।  

তিনি বলেন, ‘নিলামে যা ঘটেছে তাতে এটা স্বাভাবিক কিছুটা চাপ অনুভব করা। যদি আমি বলি যে কোন চাপই ছিল না তাহলে তা মিথ্যে হবে। তবে সৌভাগ্যজনকভাবে, এর আগেও আমি বিশাল প্রাইস ট্যাগ নিয়ে এখানে খেলতে এসেছিলাম। তাই দিনশেষে আপনাকে মাঠে পারফর্ম করে দেখাতে হবে, প্রাইস ট্যাগ কত তা ব্যাপার নয়। তাই এখানে কিছুটা চাপ তো থাকবেই। তবে দিনশেষে উচ্চ প্রাইস ট্যাগের জন্য সৃষ্ট কোন চাপ মাঠের খেলায় প্রভাব ফেলবে না।’