সুরক্ষা বলয় নিয়ম ভাঙলে নির্বাসন, গুণতে হবে জরিমানাও

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চারিদিকে করোনার দাপট থাকলেও এরই মাঝে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৩তম আসর। করোনার এমন পরিস্থিতিতে আইপিএল আয়োজন করায় জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে বেশ কঠোর অবস্থানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
সময় যত গড়িয়েছে জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে ততই কঠোর হওয়ার চেষ্টা করেছে বিসিসিআই। এবার নতুন করে আবারো নির্দেশিকা দিয়েছে তারা। যেখানে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ম ভাঙলে নির্বাসন, সেই সঙ্গে গুণতে হবে জরিমানাও।
ভারতে করোনা পরিস্থিতি অনুকূল না থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের আইপিএল। করোনার কথা মাথায় রেখে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আইপিএল আয়োজন করছে বিসিসিআই।

আইপিএল চলাকালীন প্রতি পাঁচ দিন অন্তর করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে বিসিসিআই। সেই সঙ্গে আইপিএলে যুক্ত হওয়ার আগে প্রত্যেকের জন্য ৬ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এবার জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে নতুনভাবে আরেকটি নির্দেশিকা দিয়েছে বিসিসিআই। নতুন নির্দেশিকায় বেশ কঠোর নিয়মে সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে ক্রিকেটার এবং স্টাফদের। বোর্ডের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যদি কোন খেলোয়াড় জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙে কিংবা নতুন করে প্রবেশ করে তাহলে তাকে ছয় দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। শুধু তাই নয় এক কোটি টাকা জরিমানাও গুণতে হবে।
একই ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটলে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ আর তৃতীয়বারের মতো ঘটলে তাকে আইপিএল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তবে ওই দল তার বিকল্প হিসেবে কাউকে দলে নেওয়ার সুযোগ পাবে না। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলের ২ পয়েন্ট কাটা যাবে।
ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা খেলোয়াড়ের সঙ্গে কোন ব্যক্তি কিংবা সহায়তা কর্মীকে কথা বলার অনুমতি দেয় তাহলে তাদেরকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হবে।
দ্বিতীয়বার একই ঘটনা ঘটলে এক পয়েন্ট আর তৃতীয়বার ঘটলে ২ পয়েন্ট কাটা যাবে। আর করোনা পরীক্ষায় হাজির না থাকলে কিংবা জিপিআরএস ট্র্যাকার থেকে বেরোলে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। দলের কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যদের জন্যেও একই নিয়ম রাখা হয়েছে।