ম্যাচ পাতানোর আলামত পেলে কড়া শাস্তি দেবে বিসিবি

ছবি: ফিক্সারদের শাস্তি দিতে বদ্ধ পরিকর ফারুক আহমেদ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

ঘটনাটি গত ০৯ এপ্রিলের। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ম্যাচে শাইনপুকুরের দুটি আউট জন্ম দেয় সন্দেহের। এর মধ্যে রহিম আহমেদের স্টাম্পড আউট নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মারুফের সেঞ্চুরি ও সাইফের হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ে আসর শেষ রূপগঞ্জের
২৯ এপ্রিল ২৫
ফিক্সিং তদন্ত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, 'এই পাতানো খেলাটা দ্বিতীয় বা তৃতীয় ডিভিশনের ক্রিকেটে বড়হারে কমেছে। এটা কিন্তু একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। পাতানো খেলা হলে ওই খেলা দিয়ে আপনি কোনোদিন ভালো ক্রিকেটার পাবেন না। আপনার সেরা ব্যাটারকে আপনি বলবেন ডাক মেরে আউট হতে। আপনার সেরা বোলারকে আপনি বলবেন ওয়াইড, নো দিতে- উইকেট না নিতে। আসলে এটা কোনো খেলা না।'

'এটা আমরা চেষ্টা করব...উদাহরণ তৈরি করা (শাস্তির) খুব জরুরি। এটা নিয়ে আমাদের একটা টেকনিক্যাল কমিটি আছে। আমি এসেছি ২-৩ দিন হয়েছে। এরমধ্যে আমরা চেষ্টা করব এটা নিয়ে একটা তদন্ত করতে। যদি তদন্তে কিছু পাওয়া যায় অবশ্যই শাস্তির ব্যবস্থা করব আমরা।'
দুটো ছেলেকে নিয়ে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করানোর কোনো অধিকার নেই কারো: তামিম
২৫ এপ্রিল ২৫
গত ১০ এপ্রিল তদন্তের অংশ হিসেবে মিরপুরে ডাকা হয় শাইনপুকুরের দুই ক্রিকেটার রহিম আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদীন সাব্বিরকে। এই দুজন স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে উপস্থিত হয়ে বিসিবি কর্মকর্তাদের সামনে বিতর্কিত স্টাম্পিংয়ের সেই ঘটনা পুনরায় মঞ্চায়ন করে দেখান। উইকেটের দুই পাশে দুটি ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধারণ করা হয়।
বিতর্কিত সেই দুটি আউটের মধ্যে প্রথমটিতে ছিলেন রহিম আহমেদ। প্রথম স্লিপ থেকে ব্যাট নামিয়ে লেগ সাইডে খেলতে চাইলেন এই ব্যাটার। তবে নিহাদুজ্জামানের বলটা টার্ন করে বেরিয়ে যায়। খালি চোখে দেখলে মনে হয়, বলটা কিপারের গ্লাভসে যেতে দিতেই যেন ডাউন দ্য উইকেটে উঠে আসেন রহিম।
দ্বিতীয় আউটটি ঘিরেই যত সন্দেহের ডালপালা। নাঈম ইসলামের বলটা এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিস করেন মিনহাজুল। কিপার বল ধরতে দেরি করে ফেলেন। ব্যাটারের সামনে মোক্ষম সুযোগ ছিল অনায়াসে পপিং ক্রিজ বা দাগ ছুঁয়ে ফেলার। সেটা করতেও গিয়েছিলেন। শেষ মুহূর্তে কি ভেবে যেন আবার ব্যাট সরিয়ে নেন তিনি! সুযোগ পেয়ে স্টাম্পের বেলস দুটো উড়িয়ে দেন উইকেটরক্ষক।