৯ উইকেটের জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

ছবি: ব্যাটিংয়ের সময় লিটন দাস ও তানজিদ হাসান

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারে আরিয়ান দত্তকে দেখেশুনে খেললেন তানজিদ হাসান তামিম। যদিও পরের ওভারে অবশ্য কাইল ক্লেইনের বিপক্ষে ১৩ রান এনেছেন তানিজদ ও পারভেজ হোসেন ইমন। লক্ষ্য খুব বেশি বড় না হওয়ায় একটু সাবধানী ছিলেন তানজিদ। তবে অন্যপ্রান্তে ঝড় তোলার চেষ্টায় থাকেন ইমন। তাদের দুজনের জমে ওঠা জুটি ভাঙে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে।
এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বেই থামবে বাংলাদেশের যাত্রা, ভবিষ্যদ্বাণী আকাশের
২ ঘন্টা আগে
ক্লেইনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টায় বটম এজ হয়ে উইকেটকিপার স্কট এর্ডওয়ার্ডসকে ক্যাচ দিয়েছেন ইমন। তিন চার ও এক ছক্কায় ২১ বলে ২৩ রান করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। দলের রান পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়ার পর ফিরতে পারতেন তানজিদও। ড্যানিয়েল ডোরামের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ওয়াইড লং অন দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন।
বল সীমানার ভেতরে থাকলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি ম্যাক্স ও’ডাউড। জীবন পেয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। এরপর লিটদাসকে নিয়ে ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তানজিদ। বাংলাদেশের এই ওপেনার ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর লিটন ১৮ বলে ১৮ রান করে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন নাসুম আহমেদ। বাঁহাতি স্পিনারের ব্যাক অব লেংথের নিচু হওয়া ডেলিভারিতে অন সাইডে খেলার চেষ্টায় হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। পরের বলে ফিরেছেন তেজা নিদামানুরুও। নাসুমের অফ স্টাম্পে বাইরের বলে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ইমনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
সিরিজ হেরেও বিশ্বকাপের ‘ভালো প্রস্তুতির’ তৃপ্তি পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস
১৪ ঘন্টা আগে
দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন বিক্রমজিৎ সিং ও স্কট এডওয়ার্ডস। যদিও তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি তাসকিন আহমেদ। পাওয়ার প্লে শেষের আগে ডানহাতি পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন বিক্রমজিৎ। তবে তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরতে হয়েছে ১৭ বলে ২৪ রান করা বাঁহাতি ওপেনারকে। দলের রান পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়ার পর আউট হয়েছেন এডওয়ার্ডসও।
মুস্তাফিজুর রহমানের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে মিড অনের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় ইমনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। পরবর্তীতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। এডওয়ার্ডস ফেরার পর শারিজকে সঙ্গ দিতে পারেননি নোয়া ক্রোস। তানজিমের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে অন সাইডে ঠেলে দিয়েছিলেন শারিজ।
তিনি নিজে দৌড় না দিলেও অন্যপ্রান্তে থাকা ক্রোস রান নিতে চেয়েছিলেন। তবে শর্ট মিড অনে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে বল আটকে দেন সাইফ। তাৎক্ষণিকভাবে সরাসরি থ্রোতে রান আউটও করেছেন তিনি। পরের বলে শারিজকেও ফেরান তানজিম। ডানহাতি পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১২ রান করা শারিজ। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে স্লোয়ার ডেলিভারিতে জুলফিকার সিকান্দারকে বোল্ড করেছেন মুস্তাফিজ। ফলে সবশেষ ৮ বলে ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
ক্লেইন ও মিকেরেন দ্রুতই ফিরলে একশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে তাদের। যদিও সেটা হতে দেননি আরিয়ান। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন। ডাচদের রান একশ পার করা ছাড়া করা সম্ভব হয়নি তাদের। শেখ মেহেদীর বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ৩০ রানে। নেদারল্যান্ডস অল আউট হয়েছে ১০৩ রানে। বাংলাদেশের হয়ে নাসুম তিনটি এবং তাসকিন ও মুস্তাফিজ দুইটা করে উইকেট নিয়েছেন।