কে কিভাবে অবসর নেবে এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার: শান্ত

ছবি: গল টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (বামে) ও শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা (ডানে), ক্রিকফ্রেঞ্জি

বড় বড় সব ফেস্টুনে লেখা ‘ফ্রম ডেব্যুট টু ফেয়ারওয়েল, অ্যাঞ্জেলো ওয়াজ মাস্টারক্লাস’, ‘ফাইনাল চ্যাপ্টার ইন হোয়াইট, রিটেন ওয়েল’ এবং ‘অ্যা লায়ন ইন হোয়াইট।’ গত মাসেই টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ম্যাথিউস। বাংলাদেশের বিপক্ষে গল টেস্ট খেলেই সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে নিজের জার্সিটা তুলে রাখবেন তিনি। ২০০৯ সালে গলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাথিউসের অভিষেক।
দূরের চিন্তা না করে নতুন চক্রে ভালো শুরুর আশায় বাংলাদেশ
৫ ঘন্টা আগে
১৬ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলেছেন ১১৮ টেস্ট। ১৬ সেঞ্চুরিতে ৮ হাজার ১৬৭ রান করা ম্যাথিউস নিয়েছেন ৩৩ উইকেটও। টেস্টে লঙ্কানদের মাঝে ম্যাথিউসের চেয়ে বেশি রান আছে কেবল কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের। এমন একজনকে বিদায় দিতেই গল সেজেছে উৎসবের আমেজে। গল টেস্ট শুরুর একদিন আগে স্বাভাবিকভাবেই সংবাদ সম্মেলনে উঠে এলে তারকা অলরাউন্ডারের অবসর প্রসঙ্গ।

প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও শুভ কামনা জানালেন ম্যাথিউসকে। এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘ম্যাথিউসের সঙ্গে প্রতিপক্ষ দলে তো অনেকবারই খেলার সুযোগ হয়েছে। অনেক ভালো ভালো স্মৃতিও আছে অবশ্যই। তাঁর জন্য শুভ কামনা থাকবে ভালোভাবে যেন অবসরটা নিতে পারে।’
টাইমড আউটের ঘটনা নিয়ে ম্যাথিউসের ক্ষোভ নেই বাংলাদেশের প্রতি
৭ ঘন্টা আগে
ম্যাথিউসের পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠে এলো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অবসর প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যারা এগিয়ে নিয়েছেন তালিকায় সবার উপরে থাকবেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মুর্তজারা। অথচ তাদের কেউ মাঠ থেকে সেভাবে বিদায় নিতে পারেনি। বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচনা করা সাকিব আল হাসানকে।
বিশ্ব ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়ানো অলরাউন্ডার ঘরের মাঠে খেলে ছাড়তে চেয়েছিলেন টেস্টক্রিকেট। তবে রাজনৈতিক কারণে দেশেই ফিরতে পারেননি সাকিব। পঞ্চপাণ্ডবের আরেক ক্রিকেটার মুশফিক রহিম ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছেড়েছেন ফেসবুকে পোস্ট করে। শান্ত মনে করেন, কে কিভাবে অবসর নেবে এটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের ক্ষেত্রে অবসরের কথা যেটা বললেন এটা পুরোটাই ব্যক্তিগত একটা ব্যাপার। কে কিভাবে কখন পরিকল্পনা করছে এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। অনেকের ইচ্ছে থাকে মাঠ থেকে নেয়ার, অনেকের সেরকম ইচ্ছে নাও থাকতে পারে। যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, যদি সুযোগ আসে এবং যে যেভাবে নিতে চায় সে যেন সেভাবে নিতে পারে এটাই আশা থাকবে।’