মিরাজের ১০ উইকেটের ম্যাচে বাংলাদেশ হারল ৩ উইকেটে

ছবি: ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইতিবাচক সূচনা পায় জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডে মেজাজে খেলে ১২ ওভারে ৫০ রান তোলে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার বেন কারান এবং ব্রায়ান বেনেট। তাদের ৯৫ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন মিরাজ। তাকে লং অনে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে খালেদের মুঠোয় ধরা পড়েন বেন কারান। ফেরার আগে ৭৫ বলে সাতটি চারে ৪৪ রান করেন এই ওপেনার।২১.২ ওভারে দলীয় শতকের দেখা পায় জিম্বাবুয়ে।
চট্টগ্রাম টেস্ট জিতেও শান্ত বললেন, খুব বেশি খুশি নই
১৫ ঘন্টা আগে
দলীয় একশ রান পার করে নিক ওয়েলচের উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। আর্ম ডেলিভারিতে তাকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল ইসলাম। ফেরার আগে ১৯ বলে ১০ রান আসে ওয়েলচের ব্যাটে। এই ব্যাটার ফেরার একটু পরই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বেনেট। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটি করেন তিনি। ৬৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাটে।
পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে কিছুটা সফল হয় বাংলাদেশ। পরপর দুই ওভারে দুটি উইকেট নেন মিরাজ। দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া বেনেটকে ফেরান তিনি। ৮১ বলে ৫৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে মিরাজের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন বেনেট। পরের ওভারে মিরাজ ফেরান শন উইলিয়ামসকে। মিরাজের গুড লেংথের আরেকটি ফ্লাইট ডেলিভারিতে হাঁকাতে গিয়ে শর্ট কাভারে শান্তর মুঠোয় ধরা পড়েন উইলিয়ামস। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার করেন ১৩ বলে ৯ রান। ১২৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
১৬১ রানের মধ্যে আরও তিন উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ক্রেইগ আরভিনকে ১০ রানে ফেরান তাইজুল। এক রান করা নিয়াশা মায়াভো এবং ১২ রান করা ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে বোল্ড করেন মিরাজ। যদিও ওয়েসলি মাধেভেরের ৫৫ বলে ১৯ রানের ইনিংসে তিন উইকেটের জয় নিশ্চিত করে জিম্বাবুয়ে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে চার উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। আগের রাতের বৃষ্টির কারণে সোয়া এক ঘণ্টা পরে শুরু হওয়া খেলায় দিনের দ্বিতীয় বলেই জিম্বাবুয়েকে উইকেট এনে দেন ব্লেসিং মুজারাবানি। তার অফ স্টাম্প তাক করা শর্ট ডেলিভারিতে পুল শট খেলতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত।

বাংলাদেশের অধিনায়ক আগের দিনের করা ৬০ রান নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ১০৪ বলে সাতটি চারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। ১৯৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শান্ত ফেরার পর ৫৯.২ ওভারে দলীয় দুইশ রান স্পর্শ করে বাংলাদেশ। এর একটু পর ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। তার উইকেটটিও নেন মুজারাবানি। তার গুড লেংথের লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারি সামাল দিতে পারেননি মিরাজ। গালি অঞ্চলে দাঁড়ানো ব্রায়ান বেনেট ক্যাচটি লুফে নেন। ফেরার আগে ১৬ বলে ১১ রান করেন মিরাজ।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ জিতিয়ে ৬ জনকে ধন্যবাদ মিরাজের
১৬ ঘন্টা আগে
অপরদিকে এটি মুজারাবানির পঞ্চম উইকেট। ১১ টেস্টের ক্যারিয়ারে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো পঞ্চম উইকেট পেলেন এই পেসার। পরবর্তী সাত বলে দলের রানের খাতায় আর এক রান যোগ করে ফিরে যান তাইজুল ইসলামও। তাকে ফেরান রিচার্ড এনগারাভা। এই পেসারের শর্ট লেংথের ডেলিভারি ব্যাকফুটে গিয়ে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক নিয়াশা মায়াভোকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তাইজুল।
মিরাজ-তাইজুল দ্রুত ফেরার পর জাকের আলী অনিকের সঙ্গে দলের হাল ধরেন হাসান মাহমুদ। এই দুজনের ব্যাটে বাংলাদেশের লিড দেড়শ পার করে। একটু পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জাকের আলী অনিক। ১০৬ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। চার টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম।
এরপরের ওভারেই ফিরে যান হাসান। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার অফ স্টাম্প তাক করা বলে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হাসান। উইকেটে এসে পরের বলেই ফিরে যান খালেদ আহমেদ। মাসাকাদজার ফুল লেংথ ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন গোল্ডেন ডাক মারা খালেদ।
৭৮.১ ওভারে ২৫০ রান পার করে বাংলাদেশ। শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেয়া জাকের করেন ১১১ বলে ৫৮ রান। মুজারাবানিকে কাউ কর্নারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ১৯১/১০ (৬১ ওভার) (মুমিনুল ৫৬, শান্ত ৪০; মাসাকাদজা ৩/২১, মুজারাবানি ৩/৫০)
জিম্বাবুয়ে (প্রথম ইনিংস)- ২৭৩/১০ (৮০.২ ওভার) (উইলিয়ামস ৫৯, বেনেট ৫৭, মায়াভো ৩৫; মিরাজ ৫/৫২)
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস)- ২৫৫/১০ (৭৯.২ ওভার) (মুমিনুল ৪৭, শান্ত ৬০, জাকের ৫৮; মুজারাবানি ৬/৭২)।
জিম্বাবুয়ে (দ্বিতীয় ইনিংস)- ১৭৪/৭ (৫০.১ ওভার) (কারান ৪৪, বেনেট ৫৪; মিরাজ ৫/৫০)