ভারতীয় ক্রিকেট

ভারতের কোচ হতে চান না ফ্লাওয়ারও

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:26 বৃহস্পতিবার, 23 মে, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই ভারতের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন রাহুল দ্রাবিড়। সুযোগ থাকলেও ভারতের কোচ হতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি তিনি। দ্রাবিড়ের মতো ভারতের প্রধান কোচ হতে চান না অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারও। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে প্লে-অফে তোলা ফ্লাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিজেই।

গত ১৩ মে প্রধান কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। যেখানে চেন্নাই সুপার কিংসের প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং, দিল্লি ক্যাপিটালসের রিকি পন্টিং, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের জাস্টিন ল্যাঙ্গারের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে বিসিসিআই।

যদিও তাদের কেউই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জসপ্রিত বুমরাহদের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে হেরে আইপিএলের এবারের মৌসুম থেকে বাদ পড়েছে বেঙ্গালুরু। কোহলিদের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকা ফ্লাওয়ারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি ভারতের কোচ হতে আগ্রহ কিনা।

এ প্রশ্নের জবাবে জিম্বাবুয়ের সাবেক এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার জানিয়েছেন, তিনি আবেদন করেননি এবং করবেনও না। আপাতত বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থেকেই খুশি ফ্লাওয়ার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আবেদন করিনি। আমি আবেদনও করবো না। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততায় আমি খুশি আছি।’

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দাপট বেড়ে যাওয়ায় ভালো মানের কোচ পেতে বেগ পেতে হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডদের। কারণ জাতীয় দলের দায়িত্ব নিলে এক বছরের মাঝে ১০-১১ মাস পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়। যার ফলে জাতীয় দলের চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কোচিং করাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন কোচরা। যেটা পরিস্কার করে জানিয়েছেন পন্টিং নিজেই।

এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক পন্টিং বলেন, ‘একটি জাতীয় দলের সিনিয়র কোচ হতে পারলে ভালোই হতো। কিন্তু আমার জীবনে আরও অনেক জিনিস আছে। আমি বাড়িতে সময় কাটাতে চাই। সবাই জানে, ভারতীয় দলের কোচ হলে আইপিএলের দলের সঙ্গে থাকা যায় না।’

‘তাই আমাকে একটা ছেড়ে আরেকটি বেছে নিতে হবে, তা ছাড়া জাতীয় দলের কোচকে বছরে ১০ থেকে ১১ মাস কাজ করতে হয়। তাই আমি যতই (ভারতের কোচ হতে) চাই না কেন, এটা ঠিক এই মুহূর্তে আমার জীবনধারার সঙ্গে খাপ খাবে না এবং যে কাজগুলো আমি করতে পছন্দ করি, তা উপভোগ করতে পারব না।’