আইপিএল

মুম্বাইকে হারিয়ে তিনে লক্ষ্ণৌ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 23:57 মঙ্গলবার, 30 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

১৪৫ রানের লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় ছিল না লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের জন্য। লোকেশ রাহুলের দারুণ শুরুর সঙ্গে মার্কোস স্টইনিসেন ৬২ রানের ইনিংসে জয়ের পথেই ছিল স্বাগতিকরা। তবে দ্রুত ৩ উইকেট নিয়ে খেলা জমিয়ে দেয়ার চেষ্টায় ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে নিকোলাস পুরানদের সামনে পেরে উঠতে পারেনি হার্দিক পান্ডিয়ার দল। হারতে হয়েছে ৪ উইকেটে। মুম্বাইকে হারিয়ে তিনে উঠে গেল লক্ষ্ণৌ।

ঘরের মাঠে জয়ের জন্য ১৪৫ রান তাড়ায় লক্ষ্ণৌ নিজেদের প্রথম উইকেট হারিয়েছে ইনিংসের চতুর্থ বলে। নুয়ান থুসারার ফুল অ্যান্ড লেট সুইং ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেছেন আর্শিন কুলকার্নি। আম্পায়ার আউট না দিলেও তরুণ এই ওপেনারকে রিভিউ নিয়ে ফিরিয়েছে মুম্বাই। ভালো শুরুর পর লোকেশ রাহুল থেমেছেন ২৮ রানে। হার্দিক পান্ডিয়ার লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদ নবির হাতে ধরা পড়েছেন লক্ষ্ণৌর অধিনায়ক।

এরপর লক্ষ্ণৌর হাল ধরেন স্টইনিস এবং হুদা। দলের রান একশ হওয়ার আগে হুদাকে ফেরান হার্দিক। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের হার্ড লেংথ ডেলিভারিতে জসপ্রিত বুমরাহর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৮ রান করা হুদা। হাফ সেঞ্চুরি করা স্টইনিসকে বিদায় করেছেন নবি। লক্ষ্ণৌকে জয়ের কাছে পৌঁছে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার ফিরেছেন ৬২ রানে। স্বাগতিকদের জয়ের বাকি কাজটা সারেন নিকোলাস পুরান ও আয়ুশ বাদোনি।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা মুম্বাইয়ের শুরুটা হয়েছে বাজেভাবে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। মহসিন খানের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক করতে পারেননি ডানহাতি এই ওপেনার। এক্সট্রা কভারে দাঁড়িয়ে থাকা স্টইনিস দারুণ দক্ষতার সঙ্গে ক্যাচ লুফে নিলে রোহিতকে ফিরতে হয় মাত্র ৪ রানে। তিনে নামা সূর্যকুমার যাদব ফিরেছেন পরের ওভারেই।

স্টইনিসের লেগ স্টাম্পের উপর করা ডেলিভারিতে ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন সূর্যকুমার। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি তিনি। আম্পায়ার ওয়াইড দিলেও সেটাতে রিভিউ নেয় লক্ষ্ণৌ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল রাহুলের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে তা সূর্যকুমারের ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। যার ফলে এক ছক্কায় ৬ বলে ১০ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটারকে ফিরতে হয় ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি চারে নামা তিলক ভার্মাও।

নাভিন উল হকের লেগ স্টাম্পে করা ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বল কভারে গেলে এক রান নিতে চেয়েছিলেন তিলক। তবে তার ডাকে সাড়া দেননি নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ইশান কিশান। যার ফলে স্ট্রাইক প্রান্তে ফেরার আগেই কভার থেকে সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন রবি বিষ্ণই। পরের বলে ফিরেছেন হার্দিকও। নাভিনের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন মুম্বাইয়ের অধিনায়ক।

এজ হয়ে বল রাহুলের গ্লাভসে যেতেই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরতে হয় হার্দিককে। মাত্র ২৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে মুম্বাই। সেখান থেকে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন ইশান ও নেহাল ওয়াদেরা। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৫৩ রান। ওপেনার ইশান ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। বিষ্ণইয়ের গুগলিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে থাকা মায়াঙ্ক যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ইশান ফিরেছেন ৩২রানে।

হাফ সেঞ্চুরির পথে থাকা নেহাল আউট হয়েছেন ৪১ বরে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে। বাঁহাতি এই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন মহসিন। শেষ দিকে টিম ডেভিডের ১৮ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৪৪ রানের পুঁজি পায় মুম্বাই। স্বাগতিক লক্ষ্ণৌর হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন মহসিন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন স্টইনিস, বিষ্ণই, নাভিন এবং মায়াঙ্ক।