আইপিএল

পাওয়ার প্লে'র রেকর্ড রানই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, বলছেন পান্ত

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 10:50 রবিবার, 21 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষে ট্রাভিস হেড জানিয়েছিলেন, তাদের পরবর্তী লক্ষ্য তিনশ রান করা। সেই 'লক্ষ্য' তাড়া করতেই যেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাণ্ডব চালান অভিষেক শর্মা এবং হেড। পাওয়ার প্লে'তে রেকর্ড রানও তুলে ফেলেন তারা। ম্যাচ শেষে সেই পাওয়ার প্লে'কেই 'পার্থক্য' বলছেন ঋষভ পান্ত।

ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই ছক্কা বৃষ্টিতে ভাসাতে শুরু করেন দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামকে। দুই প্রান্ত থেকেই সমান তালে ছক্কা-চার মারছিলেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এসে মাত্র ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হেড। ফলে অভিষেকের সঙ্গে যৌথভাবে হায়দরাবাদের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন হেড।

এমন ছক্কা-বৃষ্টিতে পাওয়ার প্লে শেষে হায়দরাবাদের রান দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১২৫। আইপিএলের ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে এটিই সর্বোচ্চ রান। ২০১৭ সালে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে করা সুনীল নারিন ও ক্রিস লিনের করা ১০৫ রান ছিল সর্বোচ্চ। পরে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯৯ রানে অলআউট হয় দিল্লি। ম্যাচটি তারা হারে ৬৭ রানে। ম্যাচ শেষে এই পাওয়ার প্লে'ই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে জানান পান্ত।

একইসঙ্গে টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি, 'আমরা ভেবেছিলাম শিশির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এজন্য বোলিং বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু এর কিছুই হয়নি। তাদের যদি ২২০-৩০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারতাম তাহলে আমাদের একটি সুযোগ থাকতো। দ্বিতীয় ইনিংসে বল থেমে থেমে আসছিলো যেটা আমরা প্রত্যাশাই করিনি।'

'তবে যখন আপনি ২৬০-৭০ রান অতিক্রম করবেন তখন এটা বোলারদের আরও আত্মবিশ্বাস দেবে। আমি মনে করি পাওয়ার প্লে'টাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। তারা ১২০-৩০ রান পাওয়ার প্লে'তে পেয়েছে। আপনার সেটাকেই তাড়া করে গিয়েছি পুরো ম্যাচে।'

এদিকে শুধু আইপিএল নয় স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার। ২০১৭ সালে ডারহামের বিপক্ষে নটিংহামশায়ারের করা ১০৬ রানের রেকর্ডও ভেঙেছেন হেড ও অভিষেক। হেড ৩২ বলে ১১টি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৮৯ রান তুলে ম্যাচসেরা হন। অভিষেক করেন ১২ বলে দুটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৪৬ রান।