বাংলাদেশ ক্রিকেট

ঘাম ঝরালেন ৩৫ ক্রিকেটার, দৌড়ে সেরা রানা-সাকিব

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 12:29 শনিবার, 20 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ দলে খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলার অভিজ্ঞতা আছে শুধু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের। ২০০৪ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি ম্যাচে এখানে খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তিনিও হয়তো দুই দশক পর এই মাঠে ফিরে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছিলেন। 

শনিবার বাংলাদেশের এক ঝাঁক ক্রিকেটার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন। মূলত ফিটনেসের অবস্থা যাচাইয়ের জন্য ৩৫ জন ক্রিকেটার অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ১৬০০ মিটার দৌড় ও ৪০ মিটার স্প্রিন্ট দিয়েছেন। এই প্রতিযোগীতায় একটি গ্রুপে প্রথম হয়েছেন পেসার নাহিদ রানা।

আরেকটি গ্রুপে সবার সেরা হয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। মূলত বিসিবির নতুন ট্রেনার ন্যাথান কিলি চাচ্ছিলেন জাতীয় দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররা কী অবস্থায় আছেন, তা দেখতে। এ কারণেই তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে হাজির হয়েছিলেন কিলি। সঙ্গে ছিলেন বিসিবির অন্য ট্রেনাররাও।

রানিংয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবির ট্রেনার মীর ইফতি খায়রুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে তারা খুশি। মূলত ক্রিকেটারদের রানিংয়ের পরিপূর্ণ ফলাফল পেতেই তারা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেঁছে নিয়েছেন বলে জানালেন তিনি।

ইফতি বলেন, ‘অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়ার কারণ আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি, তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬০০ মিটার টাইম ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে যদি নিই, তাহলে প্রপার টাইমিংটা হয়। কারণ, ওই ভাবেই হিসাব করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’

কদিন পরেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে যাবে টাইগাররা। এর আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ক্যাম্প করার পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবির। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটার এখন ব্যস্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। বিশ্বকাপের পর থেকে ব্যস্ত সূচি অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের।

আগামী ৭ মাসে বাংলাদেশ দল খেলবে ৮ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে এবং অন্তত ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অন্তত যেকোনো এক সংস্করণে বিবেচিত হতে পারেন এমন ৩৫ ক্রিকেটার ছিলেন এই সেশনে। নিয়মিত ক্রিকেটারদের মধ্যে সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ ছিলেন না চোটের কারণে। আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় ছিলেন না সাকিব আল হাসানও।

পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ইফতি বলেন, 'এই পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝলাম খেলোয়াড়দের অবস্থাটা কেমন। এটার মধ্যে পাশ-ফেলের কিছু নেই। ডিপিএল গিয়েছে, বিপিএল গিয়েছে। এরপরে ওদের ফিটনেসের অবস্থা কি সেটা জানার জন্য (এই উদ্যোগ)। এটা জানার পর খেলোয়াড়দের কাকে কি অনুশীলন করাতে হবে এটা খুঁজে বের করব। ওদের জানিয়ে দেব, ওভাবে আমরা প্রয়োগ করব।'