ডিপিএল

মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি ও মেহেদির স্পিনে সুপার লিগে প্রাইম

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:32 বৃহস্পতিবার, 18 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

মৌসুমের প্রথম ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে ছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ফলে সুপার লিগ নিশ্চিত করতে গাজী টাইয়ার্স ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বিপক্ষে জয় দরকার ছিল তামিম ইকবালদের। এমন ম্যাচেই ব্যাট হাতে ৭১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। তার ব্যাটে করেই ২৬৯ রানের সংগ্রহ পায় প্রাইম ব্যাংক। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে গাজী টায়ার্স। শেখ মেহেদি ও হাসান মাহমুদ দলটির ৭ উইকেট তুলে নিলে ১২৮ রানে গুঁটিয়ে যায় তারা। ফলে ১৪১ রানের বড় জয় পায় মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের শিষ্যরা।

সুপার লিগ নিশ্চিত করতে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এদিন নেমেছিল তামিমরা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে দলটি। আগের ম্যাচে অধিনায়কত্ব ছাড়া তামিম এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্বকভাবে ব্যাট চালান। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে মারুফ মৃধাকে প্রথম তিন বলে দুই ৪ ও এক ছক্কা মারেন তিনি। কিন্তু পরের ওভারেই এই ব্যাটারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন ইকবাল হাসান।

বাঁহাতি এই ব্যাটারকে ফিরতে হয় ১৫ বলে ২০ রান করে। এরপর মৌসুমের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক পারভেজ হোসেন ইমন ও শাহাদাত হোসেন ইমনের ব্যাটে রান তুলতে থাকে প্রাইম। কিন্ত দলীয় ৬৬ রানে ২০ রান করে ফেরেন দিপু। এরপর দলটির নতুন অধিনায়ক জাকের হাসানকে নিয়ে শতরান পার করেন ইমন। কিন্তু ৩৬ রান করা এই ব্যাটারকে আর ইনিংস বড় করতে দেননি জুবারুল ইসলাম।

অধিনায়ক জাকেরও ফিরেছেন ৩৬ রান করে। এদিন দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মুশফিক। কিন্তু মিডল অর্ডারে কোনো ব্যাটার তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি। যার বড় একটা কারণ ঘরোয়া লিগে অভিষেক হওয়া চায়নাম্যান নুহায়েল সানদিদ। প্রথমে মোহাম্মদ মিথুনকে বোকা বানান এই স্পিনার। তার করা লেগ স্টাম্পের বাইরের বল বাড়তি টার্ন পেলে ৫ রানে বোল্ড হন মিথুন।

এরপর ১৬ রান করা শেখ মেহেদিকেও ক্যাচের ফাঁদে ফেলেন তিনি। বাকিদের যাওয়া আসার মাঝেই ৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। কিন্তু শামিম মিয়ার বলে জায়গা করে খেলতে গেলে শর্ট পয়েন্টে ক্যাচ তুলে ফেরেন তিনি। ইনিংস জুড়ে ছিল একটি ছক্কা ও ৫টি চারের মার ছিল তার। সবশেষ আশিকুর জামান ৩৬ ও হাসান মাহমুদ ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। গাজী টায়ার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন শামিম।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় গাজী টায়ার্স। এরপর শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন হাফিজুর রহমান ও আশরাফুল আলম। কিন্তু তাদের ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদি। ৩৪ রান করা আশরাফুল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পরের ওভারে ২৯ রান করা হাফিজুরকে সাজঘরে পাঠান নাজমুল হাসান অপু।

এরপর আর কোনো ব্যাটারকেই উইকেটে থিতু হতে দেননি অপু, মেহেদি ও মাহমুদ। তাদের বোলিংয়েই ৪৫ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় দলটি। ফলে ৩২.২ ওভারেই ১২৮ রানে গুঁটিয়ে যায় গাজী টায়ার্সের ইনিংস। প্রাইমের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন মেহেদি। এছাড়া হাসান নিয়েছেন ৩টি, অপু দুটি ও একটি উইকেট নিয়েছেন আশিকুর।