ডিপিএল

নাহিদের তোপে হারল মোহামেডান, বৃথা ইমরুল-রনির হাফ সেঞ্চুরি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:24 মঙ্গলবার, 16 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

চলতি মৌসুমে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। এরপর টানা ব্যর্থ হলেও আজ খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। কিন্তু নাহিদ রানা একাই ৫ উইকেট নিলে ধস নামে দলটির ব্যাটিং অর্ডারে। সবশেষ আবু হায়দার রনির হাফ সেঞ্চুরিতে ২২৭ রানের পুঁজি পায় দলটি। লক্ষ্য তাড়া করতে নামলে বৃষ্টি আইনে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ ওভারে ১৫৮ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটের জয় পায় তানজিদ হাসান তামিমরা।

উত্তপ্ত গরম মাথায় নিয়েই এদিন মিরপুরের শেরে-ই-বাংলা ন্যাশনাল ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান। কিন্তু নাহিদ রানার তোপের মুখে শুরুটা বাজেভাবেই হয় দলটির। এদিন ৪ রানে ব্যাট করতে থাকা ওপেনার রনি তালুকদারকে ফেরান এই পেসার। এরপর মৌসুম জুড়ে ব্যাট হাতে ছন্দে থাকা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকেও ফিরিয়েছেন শূন্য রানে।

দলীয় ৩১ রানে দুই উইকেট হারালে উইকেটে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মৌসুমে প্রথমবার ব্যাট করতে নেমেই অধিনায়ককে দারুণভাবে সঙ্গ দিতে থাকেন তিনি। তাদের ব্যাটে করেই দলীয় রান একশ পার হয়। এর আগে ৬১ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইমরুল। কিন্তু হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হলে ৭৩ বলে ৫৬ করেই ফিরতে হয় তাকে। তার ইনিংস জুড়ে ছিলো দুটি ছক্কা ও ৫টি চার।

ইমরুল ফেরার পরপরই দলটির ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান নাহিদ, মুরাদ ও রিশাদ হোসেনরা। মুরাদের বলে এদিন ২৯ রান করেই থামতে হয় মিরাজকে। এই স্পিনারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর আরিফুল ইসলাম ৫ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ফেরেন ১৫ রান করে। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে ফেরান রিশাদ। এরপর দলের হাল ধরেন আরিফুল হক ও রনি।

তাদের ৭৯ রানের জুটিতে দুশ পার করে দলটি। এ সময় ৫৪ বলে মৌসুমে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রনি। কিন্তু এই জুটি আরো বড় হওয়ার আগেই ৩০ রান করা আরিফুল হককে ফেরান রানা। এরপর রনির তিন ছক্কা ও ৪ চারে সাজানো ৫১ রানার ইনিংস থামান রবিউল হক। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষ ২২৭ রানের পুঁজি পায় দলটি। শাইনপুকুরের নাহিদ ৫টি, মুরাদ দুটি ও রবিউল রিশাদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

লক্ষ তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনি জুটিতে ৩৮ রান তোলেন তামিম ও জিসান আলম। এরপর ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন জিসান। অবশ্য তামিম ও খালিদ হাসানের ব্যাটে জয়ের পথে হাটতে থাকে দলটি। কিন্তু ৩৬ রান করা তামিমকে ক্যাচের ফাঁদে ফেলেন নাইম হাসান। এরপর খালিদ ১৩ ও বৃষ্টি আসার আগেই ৩০ রান করা মার্শল আইয়ুবকে রান আউটে কাটা পরলে ১১৬ রানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। বৃষ্টি থামার পর দলটির নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২ বলে ৩৬ রান।

নতুন লক্ষ্য পাড়ি দিতে রনির উপর চড়াও হন শানপুকুর অধিনায়ক আকবর আলি। ২৭ তম ওভারে দুই আকবরের দুই ছক্কায় ১৬ রান তুলে দলটি। ফলে পরের ওভারেই জয় নিশ্চিত হয় দলটির। সবশেষ ২০ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন আকবর। ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন শুক্কুর আলি। মোহামেডানের হয়ে রনি, নাইম ও রিয়াদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।