ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

বৃথা গেল মুশফিকের সেঞ্চুরি, প্রাইম ব্যাংককে হারাল আবাহনী

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:49 সোমবার, 15 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) হাইভল্টেজ ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ৩৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল আবাহনী। জবাবে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির পরও প্রাইম ব্যাংক থেমেছে ২৮৩ রানে। মূলত তাসকিন আহমেদ ও তানজিম সাকিবের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটাররা।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায়নি প্রাইম ব্যাংক। মাত্র ১ রান করেই আউট হয়ে যান ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর জাকির হাসান ৮ ও শাহাদাত হোসেন দিপু করেন ১২ রান। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ৮৩ রানের জুটি গড়েন পারভেজ হোসেন ইমন।

ইমন ৫৬ রান করে আউট হয়ে গেলে প্রাইমের ইনিংস প্রায় একাই টানেন মুশফিক। এই ব্যাটার সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ১০৫ বলে ১১১ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। আবাহনীর বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও তানজিম সাকিব। ২টি উইকেট পান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। একটি করে উইকেট নেন আফিফ ও শান্ত।

এর আগে এই ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল আবাহনী। ওপেনিং জুটিতেই ১১০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাইম শেখ। বিজয় হাফ সেঞ্চুরির আগেই ফিরেছেন ৪৫ রান করে রান আউট হয়ে ফিরে গিয়ে।

এরপর আবাহনীর ইনিংস টেনেছেন নাইম শেখ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজনে গড়েন আরও ৮৯ রানের জুটি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে নাইম শেখ ১০৪ বলে ১০৫ রান করে আউট হয়েছেন রেজাউর রহমান রাজার বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে।

শুরু থেকেই ইতিবাচক ব্যাটিং করেছেন নাইম। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলেই মেরেছিলেন বাউন্ডারি। এরপর নবম ওভারে রেজাউর রহমান রাজার ওপর চড়াও হয়েছিলেন তিনি। পরপর তিন বলে দুটি চার ও ছক্কা মারেন আবাহনীর এই ওপেনার। ৪২ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও।

নাইম অবশ্য ফিরতে পারতেন আগেই। উইকেটকিপিং ছেড়ে বোলিং করতে এসে নিজের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই নাইমের প্যাডে বল লাগিয়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। এই স্পিনারের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ব্যাটই লাগাতে পারেননি আবাহনীর এই ব্যাটার। সঙ্গে সঙ্গেই জোরালো আবেদন করেছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ফিল্ডাররা।

যদিও সেই আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন দলটির ক্রিকেটারদের একাংশ। মাঠে ছুটে আসতে হয় প্রাইম ব্যাংকের প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনেরও। তার হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হয়। এ কারণে কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল খেলা। ভাগ্য সাহায্য পেয়ে এরপর সেঞ্চুরি তুলে নেন নাইম।

এই ওপেনার ফেরার পর সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন শান্ত। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। দুজনই ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন। শান্ত ৮৫ বলে ১১৮ রান করে ফিরে গেলেও হৃদয় শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৫ বলে ৬৫ রানের ক্যামিও খেলে।

শান্ত সবচেয়ে বেশি চড়াও হয়েছিলেন হাসান মাহমুদের ওপর। এই পেসারের ১৯ বলে ৭টি চারে ৩৭ রান করেন শান্ত। আর রাজার ৮ বলে তিনি যোগ করেন ১৯ রান। হাসান মাহমুদের দারুণ এক ইয়র্কারে শেষ হয় শান্তর দুর্দান্ত ইনিংস।

এরপর আবাহনীকে একাই টেনেছেন হৃদয়। শেষ ওভারের শেষ দুই বলে ছক্কা মেরে আবাহনীকে ৩৪১ রানের বিশাল সংগ্রহে পৌঁছে দেন হৃদয়। শেষ দিকে আফিফ হোসেন শূন্য রানে ফিরে গেলেও ১ বলে ১ রান করে অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী।