আইপিএল

কুলদীপের ঘূর্ণির পর অস্ট্রেলিয়ার নতুন ম্যাক্সওয়েলে দিল্লির জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 23:53 শুক্রবার, 12 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

দুই স্পিনার অক্ষর প্যাটেল এবং কুলদীপ যাদব মিলে ৮ ওভারে দিলেন ৪৬ রান, নিলেন ৩ উইকেট। বাকি ১২ ওভারে তিন পেসার ইশান্ত শর্মা, খলিল আহমেদ এবং মুকেশ কুমার মিলে দিলেন ১২১ রান। আয়ুশ বাদোনির হাফ সেঞ্চুরিতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ১৬৭ রানের পুঁজি পেলেও জ্যাক ফ্রেশার ম্যাকগার্ক ও পান্তের সামনে তা যথেষ্ট হলো না। অস্ট্রেলিয়ার নতুন ম্যাক্সওয়েল খ্যাত ম্যাকগার্কের ৫৫ এবং পান্তের ৪৪ রানের ইনিংসে দিল্লি ক্যাপিটালস জয় পেয়েছে ৬ উইকেটে। ছয় ম্যাচ খেলা দিল্লির এটি দ্বিতীয় জয়। এর আগে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েছে তারা।

একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৬৮ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লির। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই অভিজ্ঞ ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় তারা। ইয়াশ ঠাকুরের লেগ স্টাম্পে করা ডেলিভারিতে ফাইন লেগ দিয়ে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন ওয়ার্নার। কিন্দু বল প্যাড লেগে গড়িয়ে গড়িয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে এবং বলে উপড়ে যায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এক বোল্ড আউটে সাজঘরে ফিরতে হয় ৮ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনারকে।

তিনে নেমে এদিন বাজিমাত করেছেন ম্যাকগার্ক। দারুণ ব্যাটিংয়ে সঙ্গ দিতে থাকেন পৃথ্বী শকে। তারা দুজনে মিলে রান তুলতে থাকলেও পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর আউট হতে হয়েছে ওপেনার পৃথ্বীকে। ৬ চারে ৩২ রান করা ডানহাতি এই ওপেনারকে শিকার বানিয়েছেন রবি বিষ্ণই। তরুণ এই লেগ স্পিনারের বলে স্লগ সুইপ করেছিলেন পৃথ্বী। সীমানায় দাঁড়িয়ে লাফিয়ে উঠে দারুণ ক্যাচ নিলে ফিরতে হয় তাকে।

পৃথ্বী ফিরলেও থেমে থাকেননি ম্যাকগার্ক। নিজের আইপিএল অভিষেকে ৩১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর তাকে খুব বেশিক্ষণ টিকতে দেননি নাভিন উল হক। ডানহাতি এই পেসারের বলে আরশাদ খানকে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলা ম্যাকগার্ক। এদিকে হাফ সেঞ্চুরির আগে ফিরেছেন পান্ত। তাকে হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেছেন বিষ্ণই।

২৩ বছর বয়সি এই লেগ স্পিনারের বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন পান্ত। তবে তার গুগলি বুঝতে না পেরে বলের লাইন মিস করেন দিল্লির অধিনায়ক। লোকেশ রাহুল স্টাম্পিং করলে পান্তকে ফিরতে হয় ৪৪ রানে। এরপর ট্রিস্টিয়ান স্টাবস অপরাজিত ১৫ এবং শাই হোপ ১০ রানে অপরাজিত থেকে দিল্লির দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করেন। লক্ষ্ণৌর হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন বিষ্ণই। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাভিন ও ঠাকুর।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। তবে ইনিংস বড় করতে না পেরে থেমেছেন ১৯ রানে। আরেক ওপেনার রাহুল করেছেন ২২ বলে ৩৯ রান। বাকিদের মাঝে দেবদূত পাডিকাল, মার্কাস স্টইনিস এবং পুরানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। শেষ দিকে বাদোনির ৫৫ এবং আরশাদের ২০ রানের ইনিংসে ১৬৭ রানের পুঁজি পায় লক্ষ্ণৌ।