আইপিএল

তিন মাসের পুনর্বাসনে বদলে গিয়েছে সুর্যকুমারের জীবন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 11:42 শুক্রবার, 12 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

লম্বা সময়ে ধরে চোটে ভুগছিলেন সুর্যকুমার যাদভ। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে থাকায় অংশ নিতে পারেননি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) শুরুর দিকে। তবে মুম্বাইয়ের জার্সিতে মাঠে ফেরার ম্যাচে আলো ছড়াতে ব্যর্থ হন এই ব্যাটার। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। কিন্তু চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই জ্বলে ওঠেন সূর্য। ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৯ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

আইপিএলে চলতি আসরে নিজের প্রথম ম্যাচে অবশ্য ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন সুর্যকুমার। জানিয়েছিলেন, পারফরম্যান্সের চেয়েও তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ খেলায় ফেরা। ক্লান্তিকর দীর্ঘ পুনর্বাসন যেন অনেকখানি বদলে দিয়েছে তাকে। এ ছাড়া মাঝের তিন মাসে বদলেছে এই ব্যাটারের ভাবনাও। তাই নিজেই বললেন, গত তিন মাসে ব্যক্তি ও অ্যাথলেট হিসেবে আরও পরিণত হয়েছেন তিনি।

স্পোর্টস হার্নিয়া, ডান হাঁটুর ব্যথা ও অ্যাঙ্কেলের চোটে গত ডিসেম্বর থেকে খেলার বাইরে ছিলেন সুর্যকুমার। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তিন মাসের পুনর্বাসন শেষে গত ৭ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে আইপিএলে ফেরেন এই বিধ্বংসী ব্যাটার। আইপিএলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সঙ্গে আলাপচারিতায় সুরিয়াকুমার ফিরে তাকালেন পুনর্বাসনের সেই কঠিন সময়ের দিকে।

সূর্যকুমার বলেন, 'শেষ তিন মাস কেমন কেটেছে, বর্ণনা করা একটু কঠিন। এটা আমাকে ব্যক্তি ও অ্যাথলেট হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে। প্রথম দুই-তিন সপ্তাহের পুনর্বাসনে একই কাজ বারবার করতে হওয়ায় একঘেয়েমিতে পেয়ে বসেছিল। চতুর্থ ও পঞ্চম সপ্তাহ থেকে আমি উপলব্ধি করি, সামনে এগিয়ে যেতে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আমি কীভাবে ফিরতে চাই, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।'

গেল বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরই কাল হয়ে দাঁড়ায় সুর্যকুমারের। চোট পান হাটুতে, ধরা পড়ে স্পোর্টস হার্নিয়াও। সেটার জন্য জানুয়ারিতে হয় অস্ত্রোপচার। এরপর থেকে তার গত তিন মাসের বেশিরভাগ সময় কাটে বেঙ্গালুরুর এনসিএর স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে।

কঠিন নিয়মের মধ্যে চলে সুর্যর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। সঠিক খাবার আর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় গুরুত্ব। সেখানে এমন কিছু কাজও তিনি করেন, যা এর আগে কখনও করেননি। যেমন, বই পড়া। সুর্য বলেন, 'যখন আমার স্ত্রী ও এনসিএর লোকজনের সঙ্গে কথা বলতাম, তখন তারা বলত, এটা হতে হবে আমার দ্বিতীয় সংস্করণ। মাঠে যখন ফিরব, তখন আমি হব আগের চেয়ে একটু আলাদা। আমি ছোট ছোট কাজগুলো শুরু করি। যেমন, যথা সময়ে ঘুমানো, ভালো ডায়েট মেনে চলা।'

'এর আগে আমি কখনও কোনো বই পড়িনি, সেটাও শুরু করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভালো সময় কাটাই। সবকিছুর দিকে মনোযোগ দিই। নিজেকে, নিজের মতিষ্ক ও শরীরকে পুনর্বাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করি। এগুলো আমাকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করেছে, কারণ আমি একসঙ্গে দুই-তিনটি সমস্যায় ভুগছিলাম।' আরও যোগ করেন তিনি।