ডিপিএল

প্রাইম ব্যাংককে হারিয়ে দুইয়ে উঠল শেখ জামাল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:40 শনিবার, 06 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সমান পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় ও চতুর্থস্থানে ছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তাই ম্যাচটির গুরুত্ব সমান ছিল দুইদলের কাছেই। সুপার লিগ ও শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না কারও কাছেই। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে ৭৩ রানের জয় তুলে নিয়েছে শেখ জামাল। ফলে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে ওঠে এল দলটি।

এদিন টসে জিতে শেখ জামালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানায় প্রাইম ব্যাংক। তামিম ইকবালের আমন্ত্রনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে নুরুল হাসান সোহানের দল। দুই ওপেনারের ব্যাটে দলীয় হাফ সেঞ্চুরি পার করার পর একশোর পথে হাঁটতে থাকে শেখ জামাল।

দলীয় রান ১০০'র আগে অবশ্য শেখ জামালের দুর্গে প্রথম আঘাত হানেন রুবেল হোসেন। দলীয় ৯১ রানে ৪৩ রান করা সৈকত আলীকে বিদায় করেন এই পেসার। সঙ্গী হারালেও তিনে নেমে ফজেল রাব্বিকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে থাকেন সাইফ হাসান।

দুজনের ব্যাটে দলীয় রান দেড়শর ঘরে পৌঁছে যায়। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সাইফ হাঁটতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। তবে তার সঙ্গী রাব্বি ফিরে যান ব্যক্তিগত ৫০'র আগেই। ৬০ বলে ৪২ রান করে রান আউট হন এই ব্যাটার। এরপর নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দলকে ২০০'র ঘরে নিয়ে যান সাইফ।

সঙ্গে সাইফ তুলে নেন নিজের সেঞ্চুরিও। অবশ্য ৭ রান করে সোহান ফিরে যাওয়ার খানিক পরই ১১৫ রানে বিদায় নেন সাইফ। ১২০ বলে ১১৫ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর ইয়াসির আলী ও জিয়াউর রহমান মিলে দলের হাল ধরেন।

দুই ব্যাটারর ব্যাটে ৩০০'র পথে হাঁটতে থাকে শেখ জামাল। কিন্তু শেষ ওভারে দুই ব্যাটারকে হারিয়ে ৬ উইকেটে ২৯২ রানে থামে নুরুল হাসান সোহানের দল। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। রুবেল ও রাজা নেন একটি করে।

২৯৩ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও পারভেজ হোসেনের ব্যাটে শুরুটা ভালোই করে প্রাইম ব্যাংক। তবে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে পারভেজকে হারিয়ে বসে দল। ১৭ বলে ২২ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। সঙ্গী হারালেও তিনে নেমে শাহাদাৎ হোসেনকে নিয়ে হাল ধরেন তামিম।

তাদের ব্যাটে দলীয় রান ৫০ পার করলে দল হাঁটতে থাকে ১০০'র পথে। তামিম পৌঁছে যান হাফ সেঞ্চুরিতে। তবে বাড়তি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন দিপু। এরপর জাকির হাসানকে নিয়ে রান তুলতে থাকেন তামিম। তবে দলীয় ১৩৫ রানে জাকির ফেরেন ৩৩ রানে।

জাকিরের বিদায়ের পর তামিম নিজেও উইকেটে বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি। ৪ বার জীবন পেয়েও ৬৯ রানে আউট হন তিনি। অধিনায়কের বিদায়ের পর বাকিরা উইকেটে বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ১৭৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে প্রাইম ব্যাংক।

টিপু সুলতানের ঘুর্নিতে একেবারে যেন দিশেহারা হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। হাসান মুরাদকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। শেষ দুই ব্যাটারকে বিদায় করেন তাইবুর রহমান। ২১৯ রানে অল আউট হয় শেখ জামাল। ৭৩ রানের জয় পায় নুরুল হাসানের দল।