ডিপিএল

তানজিম-শরিফুলদের পেস আগুনে পুড়ল মাশরাফির রূপগঞ্জ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:02 শনিবার, 06 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক থেকে শুরু করে শামীম হোসেন পাটোয়ারি, আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে খেলতে নেমে সবাই যেন এলেন আর গেলেন। ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে একপ্রান্ত আগলে রাখলেন কেবল মাশরাফি বিন মুর্তজা। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৬০ বল খেললেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ বল খেলেছেন ইমরানুজ্জামান। তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলামের পেস আগুনে পুড়ে রূপগঞ্জ অল আউট মাত্র ৯৯ রানে। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় পয়েন্ট টেবিলের সবার উপরে থাকা আবাহনী জয় পেয়েছে ৮ উইকেটে।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১০০ রান তাড়ায় শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি আবাহনীর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আব্দুল হালিমের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করেছিলেন নাইম শেখ। তবে ইনসাইড এজ হয়ে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। আগের বলে চার মেরে রানের খাতা খোলা বাঁহাতি এই ওপেনারকে ফিরতে হয় সাজঘরে।

তিনে নামা তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন এনামুল হক বিজয়। যদিও তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি আল আমিন হোসেন। ডানহাতি এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করেছিলেন হৃদয়। তবে বল টপ এজ হয়ে থার্ডম্যানে থাকা তৌফিক খান তুষারের হাতে যায়। একেবারে সীমানা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা তুষার ক্যাচ নিলে হৃদয়কে ফিরতে হয় ৯ বলে ১০ রানের ইনিংস খেলে। হৃদয় ফেরার পর চারে নেমে রূপগঞ্জের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাতে থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

বিজয় দেখেশুনে খেলতে থাকলেও মোসাদ্দেক একের পর এক বল বাউন্ডারি ছাড়া করতে থাকেন। তারা ‍দুজনে মিলে গড়েন ৭২ রানের জুটি। যেখানে বেশিরভাগ রান করেছেন মোসাদ্দেক। আবাহনীর অধিনায়ক এদিন খেলেছেন ১৮ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংস। যেখানে চারটি ছক্কা এবং পাঁচটি চার মেরেছেন তিনি। মোসাদ্দেককে সঙ্গ দেয়া বিজয় অপরাজিত ছিলেন ৩৪ বলে ৩৭ রান। রূপগঞ্জের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আল আমিন এবং হালিম।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রূপগঞ্জ। ইনিংসের প্রথম ওভারে তুষারকে ফেরান শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন তিনি। আরেক ওপেনার সাদমান ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। তাকে ফিরিয়েছেন পেসার তানজিম সাকিব। একই ওভারে আউট হয়েছেন মুমিনুলও। তানজিম সাকিবের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

রূপগঞ্জের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৯ রান। এরপর একে একে বিদায় নিয়েছেন ইমরানুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শামীম, শুভাগত হোমের মতো ব্যাটাররা। সবচেয়ে ৬০ বল খেলে ১৫ রান করেছেন মাশরাফি। ডানহাতি এই ব্যাটারকে ফেরান তাসকিন। তবুও ৯৯ রানে অল আউট হতে হয় রূপগঞ্জকে। আবাহনীর হয়ে তানজিম সাকিব পাঁচটি, শরিফুল তিনটি এবং তাসকিন নিয়েছেন দুটি উইকেট।