ডিপিএল

রনির ২০ রানে ৭ উইকেট, মোহামেডান জিতল ৬.২ ওভারে

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 11:48 শনিবার, 06 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমীকে রীতিমতো বিধ্বস্তই করে দিলেন আবু হায়দার রনি। মাত্র ২০ রান খরচায় দলটির সাত ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন তিনি। আর তাতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ১২ ওভারে মাত্র ৪০ রানে অল আউট হয়েছে গাজী টায়ার্স। মাত্র ৬.২ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে ম্যাচ শেষ করে মোহামেডান। চলমান ডিপিএলে এর আগে এতো দ্রুত শেষ হয়নি কোনও ম্যাচই।

বাংলাদেশের 'লিস্ট-এ' ক্রিকেটের যতটুকু রেকর্ড নথিভুক্ত আছে, সেই হিসেব অনুযায়ী এর আগে ৪০ রানের নিচে অল আউট হয়েছে কেবল দুটি দল। ২০০২ সালে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে মাত্র ৩০ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম বিভাগ।

এরপর ২০১৩ সালে ফতুল্লায় আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে মাত্র ৩৫ রানে অল আউট হয় ক্রিকেট কোচিং স্কুল। চট্টগ্রাম-সিলেটের সেই ম্যাচটিতে চট্টগ্রাম অল আউট হয় ২০.৪ ওভারে। আর আবাহনীর বিপক্ষে ক্রিকেট কোচিং স্কুল অলআউট হয় ২০.২ ওভারে। সেখানে আজকের ম্যাচে মাত্র ১২ ওভারে অল আউট হলো গাজী টায়ার্স।

বিকেএসপি'র তিন নম্বর মাঠে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভার থেকেই রনির তোপের মুখে পড়ে গাজী টায়ার্স। সাত বল খেলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান আশিকুর রহমান শিবলি। সেই ওভারে ইফতিখার হোসেন ইফতিকেও কট বিহাইন্ড করেন রনি। উইকেটের পেছনে ক্যাচটি নেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। এই স্পিনারের বলে বোল্ড হন তিন বলে পাঁচ রান করা মহব্বত হোসেন রোমান। ইনিংসের চতুর্থ এবং নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও জোড়া উইকেট নেন রনি।

সাত বলে পাঁচ রান করা হাফিজুর রহমানকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। উইকেটরক্ষক তাহজিবুল ইসলাম রনিকে মিড অনে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হন।

সপ্তম ওভারে আট বলে এক রান করা আশরাফুল আলম আসিফকে কট এন্ড বোল্ড করে নিজের পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন রনি। গাজী টায়ার্সের ইনিংসে চার ব্যাটারই শূন্য রানে ফিরেছেন। দুই অঙ্কে পৌঁছেছেন কেবলই একজন!

১৮ বলে ১৬ রান করা ইফতিখার সাজ্জাদকেও লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন রনি। ইনিংসের ১২তম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনকেও লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। দলটির হয়ে সমান ছয় ওভার করে করেন নাসুম ও রনি। গাজীর বাকি তিনটি উইকেট নেন নাসুম।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কেবল রনি তালুকদারের উইকেট হারায় মোহামেডান। ১২ বলে ১২ রান করে আরিদুল ইসলাম আকাশের বলে বোল্ড হন তিনি। এ ছাড়া ইমরুল ২১ বলে ১৯ ও অঙ্কন পাঁচ বলে পাঁচ রান করে অপরাজিত থাকেন।