ডিপিএল

৭ ম্যাচ পর সিটি ক্লাবের প্রথম জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:46 শুক্রবার, 05 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে হেরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবারের মৌসুম শুরু করেছিল সিটি ক্লাব। এরপর টানা হারতে হয়েছে টানা ছয় ম্যাচে। সব মিলিয়ে ডিপিএলের প্রথম সাত ম্যাচেও জয়শূন্য ছিল সিটি ক্লাব। অবশেষে অষ্টম রাউন্ডে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। প্রথম জয়ের খোঁজে সাজ্জাদুল হক রিপন ও মইনুল ইসলাম সোহেলের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ২৫১ রানের পুঁজি পায় দলটি। সিটি ক্লাবকে জেতাতে বাকি কাজটা সেরেছেন ইরফান হোসেন। একাই ৫ উইকেট নিয়ে সিটি ক্লাবকে ২০ রানের জয় এনে দিয়েছেন তিনি। এবারের ডিপিএলে সিটি ক্লাবের এটিই প্রথম জয়।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্রাদার্সের দুই ওপেনার উদ্বোধনি জুটিতেই তোলেন ৫৯ রান। কিন্তু ২৫ রান করা ইমতিয়াজকে সাজঘরে ফিরিয়ে দলটিতে প্রথম আঘাত হানেন মইনুল। এই ধাক্কা সামাল দিয়ে মাহমুদুল হাসানকে সঙ্গী করে ফের জুটি গড়েন রহমতুল্লাহ। তাদের জুটিতেই একশ রান পার করে ব্রাদার্স। তাতে করে জয়ের আশা জাগে দলটির।

এ সময় দলটির জয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ইফরান। প্রথমে ১৫ রান করা মাহমুদুল হাসানকে ফেরান তিনি। এরপর ৬০ রান করা রহমতুল্লাহকেও আর ইনিংস বড় করতে দেননি। এই পেসারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে স্ট্রেট ড্রাইভ করতে গেলে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন এই ব্যাটার। এরপর ১৩ রান করা আব্দুল মজিদকেও ফেরান এই পেসার।

সবশেষ দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন আসিফ আহমেদ রাতুল ও রাহাতুল ফেরদৌস। কিন্তু ৪৪ রান করা রাতুলকে বোল্ড করে ফের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পায় সিটি ক্লাব। সবশেষ ৩০ রান করা ফেরদৌস ফিরলে নির্ধারিত ওভার শেষ ২৩১ রানের বেশি তুলতে পারেনি ব্রাদার্স। সিটি ক্লাবের হয়ে ইরফানের ৫ উইকেট ছাড়াও আসাদুল্লাহ গালিব, মইনুল ও নাইমুর রহমান একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে সিটি ক্লাব। দিনের প্রথম বলেই বোল্ড হয়েছেন দলটির ওপেনার সাদিকুর রহমান। আবু জায়েদ রাহির গুড লেংথ ডেলিভারি হালকা ইন সুইং পেলে শূন্য রানেই ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর ১৫ রান করা শাহরিয়ার কমল বোল্ড হয়েছেন মাহবুব নিলয়ের বলে। এরপর মৌসুমে প্রথম ম্যাচে খেলতে নামেন কফিল উদ্দিন।

ডানহাতি এই ব্যাটারকেও রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরান রাহি। বাকিদের যাওয়া-আসার মাঝে উইকেটে থিতু হয়ে থাকেন আরেক ওপেনার হাসান। সাজ্জাদুল হক রিপনকে নিয়ে ৮৩ রানের জুটি গড়েন। এ সময় হাফ সেঞ্চুরির পথে থাকা হাসান শিকার হন মাহমুদুল হাসানের। এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল বাড়তি টার্ন পেলে ৪১ রানে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে। এই ওপেনার ব্যর্থ হলেও ৭২ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন রিপন।

উইকেটে আসা নতুন ব্যাটার মইনুল ইসলাম সোহেলকে নিয়ে রান তুলতে থাকেন। ম্যাচের ৩৭ তম ওভারের চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে করেন মাহমুদুল হাসান। সেই বল শট ফাইন লেগে খেলার চেষ্টা করেন রিপন। কিন্তু তাকে বোকা বানিয়ে সেই বল লেগ স্টাম্পে আঘাত করলে ৭২ রানে ফিরতে হয় তাকে। সবশেষ সোহেলের ৫৩ ও মইনুল ইসলামের ২২ রানে ২৫১ রানের পুঁজি পায় দলটি। ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন রাহি।