ডিপিএল

তামিম-মিঠুনের হাফ সেঞ্চুরিতে প্রাইমের জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:38 বুধবার, 03 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বাজে শুরু করলেও কয়েক ম্যাচ পরই ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন তামিম ইকবাল। সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতে হাফ সেঞ্চুরি করা প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক এদিনও খেললেন পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস। ২০৯ রান তাড়ায় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৪ রানের ইনিংস। হাফ সেঞ্চুরিতে তামিমকে সঙ্গ দিয়ে প্রাইম ব্যাংকের ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর মাঠে এদিন টসে জিতে পারটেক্সকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় প্রাইম ব্যাংক। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পায় তামিমরা। ওপেনার নিহাদুজ্জামান খানকে ৩ রানের বেশি করতে দেননি নাজমুল ইসলাম অপু। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে কাউ কর্নার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।

শুরুর এই ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন মুনিম শাহরিয়ার ও মিজানুর রহমান। তাদের ৬০ রানের জুটি প্রাইমের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ সময় দলীয় ৬৪ রানে শেখ মেহেদির বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে রান নেয়ার চেষ্টা করেন তারা দুজন। কিন্তু মাঝ পথ থেকেই মুনিমকে ফিরে যেতে বলেন মিজানুর। ততক্ষণে অপুর ছোঁড়া বলে স্ট্যাম্প ভাঙেন মেহেদী।

ফলে ব্যক্তিগত ২৯ রানেই থামতে হত মুনিমকে। সেই ওভারের শেষ বলে পারটেক্সকে ফের ধাক্কা দেন মেহেদী। স্লিপে থাকা অলক কাপালির কাছে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানেই ফেরেন শামসুল ইসলাম। অপরদিকে উইকেটে থিতু হয়ে থাকা মিজানুর পৌঁছে যান হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি। টানা চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরির পথে থাকা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন রুবেল।

ফলে ৩ রানের আক্ষেপ নিয়ে ৪৭ রানেই ফিরতে হয় মিজানকে। সবশেষ তানভীর আহমেদের ৪০, তোফায়েল আহমেদের ২৪ ও আব্দুল গাফফারের ২৪ রানে ভর করে ২০৮ রানের পুঁজি পায় দলটি। এদিন প্রাইমের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল ও মেহেদী। একটি করে উইকেট পেয়েছেন কাপালি ও অপু।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৯ রান তোলেন তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। কিন্তু সেই জুটি ভাঙে ইমন ফিরলে। মৌসুম জুড়ে দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার ফিরেছেন মাত্র ১৮ রান করে। এরপর সাব্বির রহমান ১৩, নাইম ইসলাম ১০ রানে ফিরলেও ৬২ বলে মৌসুমে নিজের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি তুলেনেন তামিম।

এ সময় মিঠুনকে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়েন দলটির অধিনায়ক। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭৪ রানে আসাদুজ্জামানের বলে খেলতে গেলে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ তুলে দেন তামিম। এরপর দলের হাল ধরেন মিঠুন। মৌসুম জুড়ে রান খরায় থাকা এই ব্যাটার ৬৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। কিন্তু তাকে আর ইনিংস বড় করতে দেননি রাকিবুল আতিক।

এই স্পিনারের বলে কাউ কর্নার দিয়ে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন মিঠুন। কিন্তু অফ স্টাম্পের বাইরের বল তার ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে মোহাম্মদ রাকিবের হাতে ধরা পরে। এরপর মেহেদী ফেরেন ১৪ রানে। সবশেষ কাপালি ১৫ ও আশিকুজ্জামান ১০ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। পারটেক্সের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেটে নিয়েছেন রাকিবুল।