বাংলাদেশ - শ্রীলঙ্কা সিরিজ

টেস্টের প্রস্তুতিতে ঘাটতি দেখেন না মুমিনুল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:43 মঙ্গলবার, 02 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

‘টেস্ট খেলার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টেই ব্যাটিং ধসের পর এমন মন্তব্য করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। যদিও বাংলাদেশের সাবেক টিম ডিরেক্টেরের সঙ্গে একমত নন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মনে করেন, টেস্টের জন্য প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল না।

সবশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকেই নাজমুল হোসেন শান্তরা ব্যস্ত সময় পার করছেন সাদা বলের ক্রিকেটে। ডিসেম্বরের শেষদিকে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল টাইগাররা। সেখান থেকে ফেরার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত ছিলেন টি-টোয়েন্টি সংস্করণের বিপিএল নিয়ে।

বিপিএল শেষ হওয়ার পর সপ্তাহ না পেরোতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে যায় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে খেলতে হয়েছে ওয়ানডে সিরিজে। লঙ্কানদের বিপক্ষে সাদা বলের ক্রিকেটে না থাকা ক্রিকেটাররা সেই সময় খেলেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে লাল বলের ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক নেই লিটন দাসদের।

টেস্ট সিরিজ শুরুর দু-দিন আগে ডিপিএল খেলে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। তৃতীয় ওয়ানডের দল থেকে বাদ পড়ায় টেস্ট খেলার আগে ডিপিএলে আবাহনীর হয়ে খেলেছেন লিটন। সাকিব টেস্টে ফেরার দুদিন আগে খেলেছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে। অর্থাৎ টেস্ট সিরিজ নিয়ে বোর্ড কিংবা ক্রিকেটারদের কেউ যথাযথ প্রস্তুতি নেননি। যদিও মুমিনুল জানান, প্রস্তুতির ঘাটতি নেই।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয় না প্রস্তুতি কোনোভাবেই কম ছিল। সাদা বলে সবাই খেলছে। চার দিনের ম্যাচ খেললেও যে প্রস্তুতি হয়ে যেত এক দিনে তাও না। ফলাফল না হলে আসলে অনেক কিছুই মনে হয়।’

যদিও অন্য আরেকটা প্রশ্নের জবাবে অনেকদিন পর টেস্ট খেলাকে কারণ হিসেবে তুলে এনেছেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘হতে পারে অনেক দিন পরে টেস্ট খেলছি। আপনার কাছে এটা একটা অজুহাত হতে পারে। আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, আপনার তো সমস্যা হয়নি? আমার সমস্যা হয়নি। কিন্তু যারা খেলছে, তারা বেশির ভাগ সাদা বলে খেলে আসছে। এটাই বাস্তব। জিনিসটা নেতিবাচক হতে পারে। কিন্তু নেতিবাচক হলেও কিন্তু অনেক সময় সত্য হয়।’