মহাব্বতের ৭ ছক্কার ঝড়ের পর মারুফদের বোলিংয়ে গাজী টায়ার্সের জয়

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে বাজে শুরু হলেও মোহাব্বত হোসেন রোমান ও ইফতেখার হোসেন ইফতির ৯১ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট ক্লাব। এদিন মহাব্বত ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ৭ ছক্কায় করেন ৬৩ রান। তাতে ভর করেই ২৩৭ রানের পুঁজি পায় দলটি। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মারুফ মৃধা ও শামীম মিয়ার বোলিংয়ে ১৬৬ রানের গুঁটিয়ে যায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। ফলে ৭১ রানের জয় পায় গাজী টায়ার্স।

এদিন টস জিতে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করতে নামে গাজী টায়ার্স। কিন্তু ম্যাচের প্রথম ওভারেই আশিকুর রহমান শিবলির উইকেট হারায় দলটি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের গতি তারকা রোহান উদ দৌলা বর্ষনের বলে পয়েন্টে থাকা সালমান হোসেন ইমনের কাছে ক্যাচ দিয়ে ২ রানে ফেরেন শিবলি।

এরপর ইফতেখারকে নিয়ে শুরু ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন রোমান। ইফতেখার দেখেশুনে খেললেও অন্যপাশে দ্রুতই রান তুলতে থাকেন রোমান। ম্যাচের দশম ওভারে আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রথম বলেই লং অফ দিয়ে ছক্কা হাঁকান। ওভারের পঞ্চম বলে রোমানকে অফ স্টাম্পের একটু বাইরে লেংথ ডেলিভারি করেছিলেন মামুন। সেই ডেলিভারিকে আবারও লং অফ দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান রোমান।

এই ছক্কাতেই মাত্র ৩৫ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এদিন ডিপিএলে অভিষেক হওয়া রোমান। অবশ্য এই ব্যাটারকে আর ইনিংস বড় করতে দেননি আবু হাসিম। এই স্পিনারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন ৬২ রান করা রোমান। ইনিংস জুড়ে ৭টি ছক্কা ও ৩ চারের মার ছিল তার। এরপর ৪১ রান করা ইফতেখারকে ফেরান আব্দুল্লাহ আল গালিব।

ডানহাতি এই স্পিনারকে কাউ কর্নার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গেলে ক্যাচ আউট হন ইফতেখার। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে আশরাফুল আলম আসিফ ২৮, হাফিজুর রহমান ২৫ ও ইকবাল হাসান ইমন ১৯ রান করলে ২৩৭ রান তুলতে পারে গাজী টায়ার্স। রূপগঞ্জের হয়ে নাবিল আহমেদ, হাসিম ও গালিব নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেটে পেয়েছেন বর্ষন ও মামুন।

জবাবে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৬ রান তুলে আইচ মোল্লাহ ও মামুন। কিন্তু ২২ রান করে মামুন ফিরলে এই জুটি ভাঙে। এরপর অধিনায়ক ফারহাদ হোসেন ফেরেন ৬ রানে। এ সময় ম্যাচে হাল ধরেন এইচ মোল্লাহ ও শামসুর রহমান। তবে তাদের ৪৯ রানের জুটি ভাঙে ৪২ রান করা এইচ মোল্লাহ ফিরলে। এরপর উইকেটে আসা গালিব রান আউটে কাটা পরলে দ্রুতই উইকেটে হারানো শুরু করে দলটি।

মাহফুজুল ইসলাম রবিন ২, সোহাগ গাজী ৮ করে ফেরেন। তবে উইকেটের অন্যপাশে শামসুর ৫৬ বলে তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। এরপরই শামীমের বলে ৫৮ রানে ক্যাচ তুলে দেন শামসুর। এরপর আর কোনো ব্যাটরই উল্লেখযোগ্য রান পারেনি। ফলে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় রুপগঞ্জ টাইগার্স।