বাংলাদেশ - অস্ট্রেলিয়া সিরিজ

১৫-২০ রানের আক্ষেপ করে জ্যোতি-ফাহিমার প্রশংসায় তিলকারত্নে

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:36 রবিবার, 31 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে একশর নিচে গুটিয়ে গেলেও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। নিগার সুলতানা জ্যোতি এবং ফাহিমা খাতুনের ব্যাটে ১২৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। যদিও অ্যালিসা হিলি এবং বেথ মুনির চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৩ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়েই জিতে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ১০ উইকেটে হারের পর হাসান তিলকারত্নে জানালেন, বাংলাদেশ ১৫-২০ রান কম করেছে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ আভাস দেয় ওয়ানডের সিরিজের পুনরাবৃত্তির। সোফি মোলিনিউয়ের ইনিংসের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দিলারা আক্তার দোলা। তিনে নামা সোবহানা মোস্তারি ফিরলেন পরের ওভারে টায়লাভ্যালেমিকের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে। ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের আভাস আরও জোরালো করে বাংলাদেশ।

যদিও মুর্শিদা খাতুন এবং জ্যোতির ব্যাটে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৫৭ রান। ওপেনার মুর্শিদা ২০ রানে ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। এরপর জ্যোতির অপরাজিত ৬২ এবং ফাহিমার ২৭ রানের সুবাদে ১২৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে বাজে ব্যাটিং করা জ্যোতিদের টি-টোয়েন্টির ইন্টেন্টে খুশি তিলকারত্নে।

বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘আমার এখনো মনে হয় ১৫-২০ রান কম করেছি। এর বাইরে যেভাবে ব্যাটিং করেছি, তাতে খুশি। বিশেষ করে জ্যোতি যেভাবে খেলেছে। শেষ ৩ ওয়ানডেতে তার একটু খারাপ সময় গেছে। আর কয়েকজন খেলোয়াড়ের ইন্টেন্ট ভালো দেখাচ্ছিল। সব মিলিয়ে ব্যাটিংটা ভালো ছিল। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ বেশ ভালো। তাদের থেকে শেখার আছে।’

বাংলাদেশের রানটা আরও একটু বেশি হতে পারতো। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে গুরুত্বপূর্ণ হলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া যেখানে বিনা উইকেটে ৫৪ রান তোলে সেখানে বাংলাদেশ করেছিল দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৮ রান। তিলকারত্নের আক্ষেপ, প্রথম ৬ ওভারে আরও ভালো ইন্টেন্ট দেখাতে পারত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রধান কোচ জানিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে আরও উন্নতি করতে হবে বাংলাদেশকে।

তিলকারত্নে বলেন, ‘আমাদের একটু বাজে সময় যাচ্ছে। কাটিয়ে উঠতে মাঝে মাঝে সময় লেগে যায়। ভিন্ন সংস্করণ, ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট অনেক ভালো ছিল। প্রথম ৬ ওভারে আরেকটু ইন্টেন্ট দেখাতে পারতাম। তবে আমার মনে হয় ইনিংস মেরামতের কাজটি বেশ ভালো ছিল। দ্বিতীয় উইকেটের পর ৫০-৬০ রান তুলেছি। এটা বেশ ভালো ছিল। হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে আমাদের উন্নতি করতে হবে। আশা করি সামনে করতে পারব।’

ওয়ানডেতে একটি ম্যাচেও একশ পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এসে অজিদের সাথে প্রথমবার একশও পেরিয়ে যায় জ্যোতির দল। সফরকারীদের বিপক্ষে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী। প্রথম কোনো ব্যাটারের হাফ সেঞ্চুরি হয়েছে অজিদের বিপক্ষে। যেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান জ্যোতি।তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ফাহিমা। ম্যাচ শেষে তাই তাদের দুজনের প্রশংসা করলেন তিলকারত্নে।

বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, বেশ হতাশ ব্যাটিং নিয়ে। তবে আজ রিকোভারি অনেক ভালো ছিল। সেখানে ইতিবাচক ব্যাপার আছে। বিশেষ করে জ্যোতি ও ফাহিমার ব্যাটিংয়ে খুশি আমি। তারা একসঙ্গে যেভাবে খেলেছে। হিসাব করে কিছু ঝুঁকি নিয়েছে ঠিক মুহূর্তে। কিছু ইতিবাচক আছে। তবে যথেষ্ট ভালো না। উন্নতির অনেক সুযোগ আছে। আমরা সে সব নিয়ে কাজ করছি।’