আইপিএল

পরাগের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রাজস্থানের জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 00:13 শুক্রবার, 29 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ম্যাচ জিততে শেষ ‍দুই ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রয়োজন ৩২ রান। উইকেটে মারকুটে ট্রিস্টিয়ান স্টাবসের সঙ্গী অক্ষর প্যাটেল। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসা সন্দীপ শর্মার প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করলেন স্টাবস। তবে পরের চার বলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন সন্দীপ, দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। ডানহাতি এই পেসারের সেই ওভারে থেকে ১৫ রান তোলার পরও জেতার জন্য শেষ ওভারে দিল্লির প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। ট্রেন্ট বোল্ট এবং নান্দ্রে বার্গারের ওভার বাকি থাকার পরও শেষ ওভারে সাঞ্জু স্যামসন বল তুলে দেন আভেষ খানের হাতে।

অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও ডানহাতি এই পেসার দিয়েছেন দারুণভাবে। স্টাবস এবং অক্ষরের মতো ব্যাটার থাকার পরও সেই ওভারে আভেষ দিয়েছেন মাত্র ৪ রান। আভেষের এমন বোলিংয়ে ১২ রানের জয় নিশ্চিত হয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের। যদিও বোলিংয়ে জয়ের ভিতটা রাজস্থানকে গড়ে দিয়েছেন ১৯ রানে দিয়ে ২ উইকেট নেয়া যুবেন্দ্র চাহাল। এর আগে অবশ্য রিয়ান পরাগের ব্যাটে ১৮৫ রানে পুঁজি পায় স্যামসনের দল। শেষ পর্যন্ত সেই পুঁজি দিয়েই টানা দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করেছে রাজস্থান।

জয়ের জন্য ১৮৬ রান তাড়ায় যেমন শুরুর প্রয়োজন ছিল সেটাই করার চেষ্টা করলেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ইনিংসের প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান এলেও পরের ওভার থেকেই রাজস্থানের পেসারদের ওপর চড়াও হয়ে উঠেন মার্শ। বার্গারকে ‍দুই চার মারার পরের ওভারে বোল্ট তিনটি মেরেছেন তারা দুজন। তাতেই প্রথম ওভারে ২ রান আসার পরও তিন ওভার শেষে দিল্লির রান বিনা উইকেটে ২৯। যদিও সেখান থেকে আর জুটি বড় হতে দেননি বার্গার।

বাঁহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে রক্ষণাত্বক শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন মার্শ। ডানহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ২৩ রান। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি রিকি ভুঁই। বার্গারের শর্ট ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে উইকেটকিপার স্যামসনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন তরুণ এই ব্যাটার। এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে রাজস্থানকে খেলায় ফেরান সাউথ আফ্রিকার এই পেসার। এরপর দিল্লিকে টানতে থাকেন ওয়ার্নার এবং পান্ত।

এদিকে দ্রুত ২ উইকেট হারালেও মারকুটে ব্যাটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন ওয়ার্নার। গত ম্যাচের মতো এদিনও খানিকটা ধীরগতির ছিলেন পান্ত। তাদের দুজনের জমে ওঠা জুটি ভাঙেন আভেষ। হাফ সেঞ্চুরির খুব কাছে থাকা ওয়ার্নারকে নিজের শিকার বানিয়েছেন তিনি। আভেষের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে এজ হয়ে শর্ট থার্ডম্যানে থাকা সন্দীপকে ক্যাচ দিয়েছেন ওয়ার্নার। অজি ওপেনার আউট হয়েছেন ৩৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে।

একটু পর সাজঘরে ফিরেছেন পান্তও। চাহালের প্রায় ওয়াইড লেংথের ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে এজ হয়ে স্যামসনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন। দিল্লির অধিনায়ক এদিন ফিরেছেন ২৬ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে। গত ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা অভিষেক পোরেল আউট হয়েছেন ৯ রানে। শেষদিকে স্টাবস ২৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেললেও দলকে জেতাতে পারেননি। দিল্লিকে ১৭৩ রানে আটকানোর দিনে রাজস্থানের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন চাহাল।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন যশস্বী জয়সাওয়াল এবং জস বাটলার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা স্যামসনও সুবিধা করতে পারেননি। পাঁচে নেমে ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে চমক দেখিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এরপর রাজস্থানকে একাই টেনেছেন পরাগ। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ধ্রুব জুরেল এবং শিমরোন হেটমায়ার। শেষ ওভারে অ্যানরিখ নরকিয়ার বিপক্ষে ২৫ রান নেয়া পরাগ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৫ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে।