ডিপিএল

রাকিবুলের ‘কিপটে’ বোলিংয়ে পারটেক্সের প্রথম জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:31 সোমবার, 18 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

১০-২-১৫-৩ এমন বোলিং ফিগার দেখে বুঝতে বাকি নেই কতটা কিপটে বোলিং করেছেন রাকিবুল আতিক। বাঁহাতি এই স্পিনারকে সহজে খেলতে পারেননি গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির ব্যাটাররা। ১০ ওভারে ৬০টি ডেলিভারি করে রাকিবুল রান দিয়েছেন মোটে ১৫। যেখানে একটি বাউন্ডারিও হজম করেননি বাঁহাতি এই স্পিনার। বরং ২ মেইডেনের সঙ্গে রাকিবুলের শিকার ৩ উইকেট। প্রতি ওভারে ১.৫০ ইকনোমি রেটে রান দিয়ে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের প্রথম জয়ের নায়ক বনে গেছেন তিনি।

এমন মিতব্যয়ী বোলিংয়ের পরও দেলোয়ার হোসেনকে পেছনে ফেলতে পারেননি রাকিবুল। বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ডটা এখনও তার অধীনে। ২০১৪-১৫ ডিপিএলে ৯ ওভারে ৭ মেইডেনে মাত্র ৪ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। যেখানে তার ইকনোমি রেট ছিল ০.৪৪। একের চেয়ে কম ইকনোমি রেটে বোলিংয়ের কীর্তি আছে সোহরাওয়ার্দী শুভ, মোহাম্মদ রফিক, মাঞ্জারুল ইসলাম এবং পারভেজ রসূলের। তবে এদিন পারটেক্সকে ৫২ রানের জয় এনে দিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন রাকিবুল।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর মাঠে ১৯৮ রান তাড়ায় পাওয়র প্লেতেই দুই উইকেট হারায় গাজী টায়ার্স। তোফায়েল আহমেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাউ কর্নারে ক্যাচ দিয়েছেন ইফতিখার। তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র এক রান। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে মোহর শেখের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন হাফিজুর রহমান। তিনে নামা এই ব্যাটার করেছেন ২ রান।

আশিকুর রহমান শিবলি এবং আশরাফুল আলম আসিফ মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা বড় করতে দেননি মুক্তার আলী। দলের রান পঞ্চাশ হওয়ার পর মুক্তারের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েছেন ৩০ রান করা আশিকুর। গাজী মোহাম্মদ তাহজিবুল ইসলাম এবং সাঈদ সরকারকেও ফিরিয়েছেন মুক্তার। ৬৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে গাজী টায়ার্স। সেখান থেকে আর ম্যাচ বের করতে পারেনি তারা।

শামীম মিয়ার সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়ে দলটিকে বেশ কিছুক্ষণ ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন আশরাফুল আলম। ৭৫ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলা আশরাফুলকে ফিরিয়েছেন রাজিবুল ইসলাম। শামীমের ৩১ রানের ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪৫ রানে অল আউট হয় তারা।

অডিও ৭৫ বলে ৩৭ রান করে রাজিবুল ইসলামের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর রাকিবুল আতিকের বলে স্টাম্পিং হয়ে বিদায় নেন শামিম মিয়া। ৬৮ বলে ৩১ রান আসে তার ব্যাটে। পারটেক্সের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল এবং মুক্তার। এ ছাড়া মোহর নিয়েছেন দুটি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পারটেক্স। দ্বিতীয় ওভারেই দুটি উইকেট হারায় দলটি। তৌফিক আহমেদের গুড লেংথের ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন মিজানুর রহমান। পারটেক্সের অধিনায়ক বিদায় নেন শূন্য রানে। দুই বল পর তৌফিকের ডেলিভারি তোফায়েলের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে চলে যায়। সহজ ক্যাচটি লুফে নেন তাহজিবুল ইসলাম। শূন্য রানে ফিরেন তাহজিবুল।

তারপর ৬৪ রানের জুটি গড়েন আজমির আহমেদ এবং আহরার আমিন। এই জুটি ভাঙেন ইফতেখার সাজ্জাদ। ৫২ বলে ৪৪ রান করা আজমিরকে ফেরান তিনি। তারপর থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে পারটেক্স। ৯৪ বলে ৪১ রান আসে আহরার আমিনের ব্যাটে। তাকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন আহরার আমিন।

শেষপর্যন্ত দলটির রান দুইশ'র কাছাকাছি পৌঁছে যায় তানবীর হায়দার এবং জাহিদুজ্জামান খানের ইনিংসে। মারুফ মৃধার বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হওয়ার আগে ৩৫ বলে ২৭ রান করেন জাহিদুজ্জামান খান। তানবীর অপরাজিত থাকেন ৬৯ বলে ৪৯ রান করে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৭ রান তোলে পারটেক্স। গাজী টায়ারের হয়ে তিনটি উইকেট নেন মারুফ মৃধা। দুটি করে উইকেট নেন তৌফিক এবং আরিদুল ইসলাম আকাশ।