পাকিস্তান ক্রিকেট

‘জায়গা হারানোর ভয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা বিশ্রাম নিতে ভয় পায়’

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:01 বৃহস্পতিবার, 07 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বেশি ম্যাচ খেললে বেশি চোটে পড়তে পারেন পেসাররা! সেই ভয় থেকেই পেসারদের বিশ্রাম দিয়ে খেলাচ্ছে ভারত ও ইংল্যান্ডের মতো দলগুলো। চোট মুক্ত রাখতে অনেক সময় ব্যাটার কিংবা অন্যান্য ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এই পথ অবলম্বন করছে ক্রিকেট বোর্ডরা। তবে পাকিস্তান নিয়ে চমকপ্রদ এক তথ্য দিলেন নাসিম শাহ। ডানহাতি এই পেসার জানালেন, জায়গা হারানোর ভয়ে পাকিস্তানে ক্রিকেটাররাই বিশ্রাম চাইতে ভয় পান।

শক্তি মত্তায় অনেকটা পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে বেশিরভাগ সময়ই সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়ে থাকে ভারত, ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলো। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ঘটনাটি প্রায় উল্টোই বলা চলে। করোনা পরবর্তী সময়ে পেসারদের নিয়ে আলাদা করে ভাবতে শুরু করেছে ক্রিকেট বোর্ডরা। সেখানে ভিন্নতা কেবল পাকিস্তানের ক্রিকেটে। জিম্বাবুয়ের মতো দলের সঙ্গেও নিয়মিত খেলতে দেখা যায় শাহীন শাহ আফ্রিদিকে।

পুরোপুরি সুস্থ না থাকার পরও বিশ্রাম না দিয়ে ম্যাচ খেলানোর অভিযোগ উঠে নাসিমকে। এদিকে জিম্বাবুয়ের মতো দলের সঙ্গে বিশ্রাম নিতে দেখা যায় না বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো ক্রিকেটাররা। যা নিয়ে মাঝে ব্যাপকভাবে সমালোচনা হয়েছে। অনেকের দাবি, নিজেদের ব্যক্তিগত পরিসংখ্যান ভারী করতেই দূর্বল দলের বিপক্ষেও বিশ্রাম নেন না তারা।

পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) চলাকালীন বিস্ফোরক এক মন্তব্য করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নাসিম। এশিয়া কাপের সময় চোট পড়া ডানহাতি এই পেসার। ৫ মাস মাঠের বাইরে থাকার পর পিএসএল দিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে খেলার সময় নাসিম জানান, পাকিস্তানে ক্রিকেটাররা বিশ্রাম চাইতে ভয় পান!

এ প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, ‘আমার মনে হয় পাকিস্তানে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, এখানে সমস্যাটা একটু ভিন্ন। এখানকার পরিস্থিতিটা এমন যে নতুন কেউ যদি এক ম্যাচে ভালো পারফর্ম করে তাহলে মূল বোলাররা একাদশে নিজেদের জায়গা নিয়ে ভয়ে থাকে। এবং তারা এটা শঙ্কায় থাকেন পরের ম্যাচে তাকে খেলানো হবে কিনা। এই ভয়ের কারণ খেলোয়াড়রা অনেক সময় বিশ্রাম নিতে চায় না। কারণ অনেক সময় আপনি যখন বিশ্রাম নেবেন তখন আপনার ক্যারিয়ার বিশ্রামে যেতে পারে।’

এবারের বিপিএল শুরুর আগে তামিম ইকবাল জানিয়েছিলেন, কোন অ্যাথলেটের পক্ষেই শতভাগ ফিট হয়ে খেলা সম্ভব নয়। মিচেল স্টার্ক একবার বলেছিলেন, পুরোপুরি ফিট হয়ে খেলতে হলে তিনি এত টেস্ট খেলতেই পারতেন না। শতভাগ ফিট কিংবা ক্লান্তির কথা পাকিস্তানে জানালে তাদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বলে জানান নাসিম। একাদশ থেকে জায়গা হারানোর ভয়ের পাশাপাশি এটি নিয়েও ক্রিকেটাররা ভয় পান বলে জানান ডানহাতি এই পেসার।

নাসিম বলেন, ‘খেলোয়াড়দের মাঝে আরও একটি ভয় আছে। আমাদের সংস্কৃতিটাই এমন যে আমরা যদি বলি আমাদের শরীর পুরোপুরি শতভাগ ফিট নয় কিংবা আমরা ক্লান্ত। তখন খেলোর প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নিয়ে অনেক কথা হবে। এমনকি খেলোয়াড়রাও আপনাকে নিয়ে কথা বলতে থাকে যাতে করে আপনি স্বেচ্ছায় বিশ্রাম না নেন।’