বিপিএল

চোটের বাধা পেরিয়ে ক্রিকেটের ‘ফ্রিল্যান্সার’

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 00:03 শুক্রবার, 26 জানুয়ারি, 2024

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

চোটের কারণে বেন কাটিংয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা থমকে গেছে আগেই। তবে ক্রিকেট থেকে দূরে সরেননি একটুও। জাতীয় দলে না থাকায় এনওসি নিয়ে খুব বেশি ঝামেলায় পড়তে হয় না অজি এই অলরাউন্ডারকে। আইপিএল খেলেছেন অনেক আগেই! পিএসএল, সিপিএল মাতানোরও অভিজ্ঞতা আছে তার। এনওসি নিয়ে ঝামেলা না থাকায় চাইলেই বিশ্বের নানান প্রান্তে খেলে বেড়াতে পারেন তিনি। সবশেষ কয়েক বছর ধরে নিয়মিতভাবে কাটিং করছেনও সেটাই। পুরো দুনিয়া জুড়ে খেলে বেড়ানোয় ফ্রিল্যান্সার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার তকমা পেয়ে গেছেন ৩৬ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার।

যাকে আরও একটু পরিশালিত ভাষায় বললে ক্রিকেট যাযাবর! এমন তকমা পেলেও একেবারেই আপত্তি নেই কাটিংয়ের। বরং এমন তকমা ভালোবাসেন এবং উপভোগও করেন তিনি। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলতে এসেছেন তারকা এই ক্রিকেটার। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলতে এসেছে নিজের যাযাবর ক্রিকেট জীবনের গল্প শুনিয়েছেন ক্রিকফ্রেঞ্জির প্রতিনিধি আবিদ মোহাম্মদকে। যেখানে বিপিএল অভিজ্ঞতা, অন্য লিগের সঙ্গে বিপিএলের পার্থক্য এবং সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমানদের সঙ্গে পুরনো বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণও করেছেন কাটিং।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: প্রথমবার বিপিএল খেলতে এসেছেন এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞতা কেমন?

কাটিং: আমি এবারই প্রথম বিপিএল খেলতে এলাম। এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞতার কথা যদি বলি তাহলে বেশ ভালো লাগছে। এখানের সব কিছু খুবই সুন্দর। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যতখানি দেখেছি তার সবটুকুই আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি পুরো আসরই খেলব। সপ্তাহখানেক হলো এখানে এসেছি, এখনও অনেক কিছু দেখা এবং উপভোগ করা বাকি।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: এর আগেও তো বিপিএল খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন, আসেননি কেন?

কাটিং: আমি সবসময় বিপিএলে আসতে চেয়েছি কিন্তু বিগ ব্যাশের সূচির সঙ্গে মিলে যাওয়ায় আসা হয়নি। ২০১৮-১৯ মৌসুমে একবার এখানে খেলতে আসার কথা ছিল আমার। সে সময় অক্টোবর-নভেম্বরে বিপিএল হওয়ার কথা ছিলভ কিন্তু পরে শুনি তা পিছিয়ে গিয়েছে। সে সময় বিগ ব্যাশও চলছিল তাই বিপিএলে আমার আসা হয়নি। কিন্তু দেখুন, সময়ের পরিক্রমায় আমি এখন এখানে। আশা করছি উপভোগ্য একটা আসর হবে। সিলেটকে অনেক কিছু দিতে পারব বিশ্বাস করি।

ক্রিকফ্রেঞ্জির: আপনি তো বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন। এবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলছেন। নতুন একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে সময়টা কেমন কাটছে?

কাটিং: আমি মাত্র সাতদিন হলো এখানে এসেছি। অল্প সময় হলেও সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আমার সময়টা ভালো কাটছে। এখানে অনেকের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি, চেনা-জানা হচ্ছে। দলকে অনেক কিছু দিতে পারার বিশ্বাস আছে আমার মধ্যে। সবচেয়ে বড় কথা এই দলটায় দেখলাম বাইরের কোন চাপ নেই। যখন কোনো প্রকার বাইরের চাপ থাকে না তখন পুরো দলের ভালো করার সুযোগ থাকে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: প্রতি বছরই বিপিএলের কোনো না কোনো কিছু নিয়ে সমালোচনা হয়। আপনি তো বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন। অন্যদের সঙ্গে বিপিএলের পার্থক্যটা কোথায়?

কাটিং: দেখুন, প্রতিটি লিগেরই একটা নিজস্বতা আছে। এখানে আইপিএলকে আপনার সবসময় ওপরেই রাখতে হবে। কারণটা আপনি ভালো করেই জানেন। আইপিএলের মান অনেক উন্নত এবং বিশ্বের সব খেলোয়াড়েরা এটা খেলার জন্য মুখিয়ে থাকে। আমি পুরো বিশ্ব জুড়েই খেলেছি, এবারই প্রথম বিপিএলে এলাম। আমার কাছে বিপিএলের মান ভালোই লেগেছে। যতটুকু জানি বিপিএলের বয়স এখন ১০ বছর। আমার বিশ্বাস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিপিএল আরও বেশি উন্নত হবে। শুধু তাই নয় আরও বড় মানের ক্রিকেটাররাও এখানে খেলতে আসবেন।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: আপনি বলছিলেন বিপিএলের মান আপনার কাছে ভালো লেগেছে। যদি জানতে চাওয়া হয় এটার মান আরও উন্নত করতে আর কি কি করা যেতে পারে?

কাটিং: আপনি চাইলেই একটা লিগের মান উন্নতি করতে পারেন। কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে বাকি লিগগুলোর সঙ্গে বিপিএলকে টক্কর দিতে হচ্ছে। এই একটা কারণে অনেক বড় বড় তারকারা হয়তো এখানে খেলতে চেয়েও আসতে পারেন না। আমার মনে হয় বিপিএলের সূচিটা একটু পরিবর্তন করা উচিত। নিজেদের মতো একটা সময় নির্ধারণ করে আয়োজন করলে এখানে পুরো বিশ্ব থেকে খেলোয়াড়রা আসবে। বিপিএলের মান আরও বাড়বে। এখন পর্যন্ত যতখানি দেখেছি-খেলেছি তাতে বিপিএলের মান নিয়ে সন্দেহ নেই।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: মান নিয়ে সন্দেহ নেই বলছেন কিন্তু অন্য লিগের তুলনায় এখানের উইকেটের তো একটা পার্থক্য আছে নিশ্চয়?

কাটিং: উপমহাদেশে আমি ভারত-পাকিস্তানে বেশি বেশি খেলেছি। এখানে প্রথমবার আসা কিন্তু এই দুই দেশের তুলনায় আমার কাছে এখানের উইকেট একটু ভিন্ন মনে হয়েছে। তবে এটাও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে এখানে আমি কোন সময় খেলছি। এখন বাংলাদেশে শীতকাল চলে, অনেক ঠান্ডা আবহাওয়া। এ কারণে দিনের খেলায় উইকেট একটু মন্থর হয়। যার ফলে আপনাকে বুঝে শুনে খেলতে হয়। রাতের খেলায় আবার শিশির থাকে, তখন একটু ভিন্ন মনে হয়েছে। পিএলএলেও রাতের খেলায় অনেক শিশির থাকে। তবে সেখানের অনেক ব্যাটারদের পক্ষে বেশি কথা বলে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: একটু অন্য প্রসঙ্গে যাওয়া যাক। সেদিন একাডেমি মাঠে আপনাকে দেখে মুস্তাফিজুর রহমান দৌড়ে এসেছিলেন। আপনাদের দুজনের মাঝে কি হয়েছিল?

কাটিং: হ্যাঁ, মুস্তাফিজের সঙ্গে আমার মিরপুরের একাডেমিতে দেখা হয়েছে। আমাকে দেখেই সে দৌড়ে এসেছে। মিনিট খানেক আলাপ হলো। সে আমাকে বলছিল আমি নাকি আগের তুলনায় আরও বেশি ফিট হয়েছি। তাকে দেখেও বেশ ফিট মনে হলো। মুস্তাফিজ অনেক পরিশ্রমী ক্রিকেটার। এ কারণেই সে সাফল্য পায়। সামনে আরও পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: মুস্তাফিজের সঙ্গে তো আইপিএলে আপনার দারুণ কিছু স্মৃতি আছে?

কাটিং: হ্যাঁ, মুস্তাফিজের সঙ্গে আমার দারুণ কিছু স্মৃতি আছে। আমরা এক সঙ্গে ২০১৬ আইপিএলে খেলেছিলাম। সে বছর হায়দরাবাদের হয়ে দুজন শিরোপাও জিতেছিলাম। সে আসরে দারুণ বোলিং করেছিল সে। আমার ক্যারিয়ারেরও অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত ছিল সেই আইপিএল। ফাইনালে আমি ঝড়ো এক ইনিংস খেলেছিলাম এবং বোলিংয়ে দুই উইকেট নিয়েছিলাম। দলকে ফাইনাল জেতাতে বড় অবদান ছিল আমার। ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় প্রাপ্তির এটি একটি। ফাইনালে ম্যাচ সেরাও হয়েছিলাম। ক্যারিয়ার জুড়ে অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে আমার, অনেকের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। ফিজ তাদের মধ্যে একজন।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: সাকিবের সঙ্গেও তো আইপিএল, টি-টেন খেলার অভিজ্ঞতা আছে আপনার...

কাটিং: সতীর্থ হিসেবে সাকিব একজন দারুণ মানুষ। তার সঙ্গে আইপিএল ছাড়াও টি-টেনে খেলেছি। ২০২১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সে আমরা একসঙ্গে ছিলাম। সেই আসলে করোনা ছিল। জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে মাঠের বাইরে আমাদের একসঙ্গে বেশি সময় কাটানো হয়নি। তবে কলকাতার ড্রেসিরুমে মাঝে মাঝেই আমাদের আলোচনা হতো। বিপিএলেও আশা করছি ওর সঙ্গে দ্রত সাক্ষাৎ হবে আমার।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: ২০০৬ সালে আপনারা তো একসঙ্গেই যুব বিশ্বকাপ খেলেছিলেন?

কাটিং: হ্যাঁ, আমার মনে আছে। মনে হয় সেবার বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছিল। তবে তাদের মুখোমুখি হওয়া হয়নি। সাকিব, মুশফিক বা তামিমের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি। আমি ছাড়াও ওয়ার্নার, খাওয়াজারাও সেবার যুব বিশ্বকাপ খেলেছিল।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: ওয়ার্নার, খাওয়াজারা অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন। কিন্তু আপনি খুব বেশি খেলতে পারলেন না...

কাটিং: সত্যি বলতে আমারও ইচ্ছে ছিল অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩ ফরম্যাটেই বেশি বেশি খেলার। কিন্তু ইনজুরি আমাকে বেশ পেছনে ফেলে দিয়েছিল। একাধিকবার চোটে পড়ে দলে জায়গা পেয়েও তা হারিয়েছি। যতই পরিশ্রম করি না কেন বা যত কিছুই করি না কেন চোটের সঙ্গে লড়াই করে আমি পারছিলাম না। পরে মনে হল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আমি নিজের পরিচয় বানাব। আমার শরীরে অবস্থার সঙ্গেও এটা দ্রুত মানিয়ে নেবে। ব্যাটিং-বোলিং দুটাতেই বেশি করতে হয় না। আবার এখন তো বোলিংই করি না। প্রয়োজন হলে মাঝে একটু আধটু করি আরকি। ব্যাটিংটা নিয়েই বেশি সিরিয়াস থাকি।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: এজন্যই কি টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট হওয়াটা সহজ হয়েছে?

কাটিং: বলতে পারেন। কারণ টি-টোয়েন্টি খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। আর একটা ব্যাপার হচ্ছে আমার তো খেলতে এনওসি প্রয়োজন হয় না (হাসি)। আমার কাজ হচ্ছে পরিশ্রম করা, আমি সেটা করি। আমি আমার ফিটনেস নিয়ে প্রচুর কাজ করি। সপ্তাহে সাতদিনই ফিটনেস নিয়ে কাজ করি, রিকোভারিতে মনোযোগ দেই। আমার কোমরের চোট ছিল, সেটা থেকে সেরে ওঠতে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এখন দেখুন কয়েক মাসের ব্যবধানে আমি ফিট।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: এই যে এনওসি নিতে হয় না। যে কারণে আপনার নামের সঙ্গে ফ্রিল্যান্সার ক্রিকেটার তকমা বসে গেছে। আপনি এটা কতটা উপভোগ করেন?

কাটিং: এটা আমি ভালোবাসি এবং উপভোগ করি। পুরো বিশ্ব ঘুরে বেড়ানো যায়। সহজ ভাষায় বললে ফ্রিল্যান্সার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার। তবে আমাদের দেশে এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা খুবই কম। আমি আর ক্রিস লিনই শুধু এই জায়গাটা বানিয়ে নিয়েছি। পুরো বিশ্বে ফ্রিল্যান্সার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে খেলি আমরা। আমার ভালো লাগে যে এখন অনেকেই আমাদের দেখে উৎসাহ পাচ্ছে। ভাবছে যে এই ঘরনার ক্রিকেটারও হওয়া যায়।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: এমন ক্রিকেটার হতে হলে তো মারকাটারি ব্যাটিং করতে পারাটা জরুরি। আপনি সেটা পারেন অবশ্যই। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এটা আয়ত্ত্ব করলেন কিভাবে?

কাটিং: আমি বাড়ির উঠানে প্রচুড় ক্রিকেট খেলেছি। বাবার অনেক অবদান ছিল আমার ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে। আমার ছোট ভাইয়েরও। প্রতিদিন কয়েকঘন্টা টানা ক্রিকেট খেলতাম আমরা। সেখান থেকেই জোরে মারা শিখেছি। টেনিস বলে খেলতে খেলতে ক্রিকেট বলে আসা।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: বাংলাদেশের যারা ক্রিকেটার আছেন তারা কিভাবে শিখতে পারেন?

কাটিং: আমি বলব শুধুই অনুশীলন করে যাও। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এটা মাথা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে যে বলটা আমাকে জোরে আঘাত করতে হবে। সহজ প্রক্রিয়ায় অনায়াসে বড় ছক্কা হাঁকানোর কৌশল খুঁজে বের করতে হবে। আবার দেখেছেন এদেশের খেলোয়াড়রা এমন অনেক কিছুই করতে পারে যা আমি পারি না। তারা বলের গতি কাজে লাগিয়ে দারুণভাবে রান বের করতে পারে।

সুইপ করায় তারা বেশ ভালো। মাঠের চারপাশে খেলতে জানে। কারণ তাদের উইকেট ক্রিকেটারদের সেই সুযোগগুলো করে দেয়। আমি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এসব খেলতে পারব না। সেখানে আমাকে ভিন্ন ধাঁচে খেলতে হয়। আমি যা পারি তা ওদের পারতে হবে তা কিন্তু নয়। আমারর ওদের থেকেও অনেক কিছু শিখে নেয়ার আছে। আমারও ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে তারা যে ধরণের কিছু শটস খেলে থাকে আমিও যদি পারতাম।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: এই যে আপনি বা আপনারা পুরো বিশ্বে খেলে বেড়াচ্ছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কিভাবে এটা করতে পারে?

কাটিং: সত্যি বলতে এর উত্তর আমার জানা নেই। আমি বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট খেলাকালীন বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের পেয়েছি। কিন্তু এখন তারা বেশি খেলতে পারে না। ক্রিকেট বোর্ড অনেক ভেবে-চিন্তে তাদের এনওসি দিয়ে থাকে। কিন্তু আমি জানি না এটা বোর্ড কেন করে। ক্রিকেটারদের বাইরে বেশি বেশি খেলতে দেয়া উচিত। এতে তাদের খেলার মান ও সক্ষমতা বাড়বে। আটকে রেখে দলে হবে না। কেন যে এনওসি নিয়ে এতো জটিলতা বিষয়টা আমার বুঝে ওঠা হচ্ছে না।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: আচ্ছা, বাংলাদেশের খেলা সেভাবে দেখা হয়?

কাটিং: এত বেশি দেখা হয় না। তাদের খেলাগুলো এমন সময়ে হয় সে সময় অস্ট্রেলিয়াতে গভীর রাত থাকে। তাই খুব বেশি কাছ থেকে তাদের ক্রিকেট দেখা হয় না তবে মাঝে মাঝে অনলাইনে স্কোর দেখি। কিন্তু তারা কি করলে ভালো করবে আর কি করা উচিত এসব নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাইছি না। আমি সেই অবস্থানে নেই যে একটা জাতীয় দল নিয়ে মতামত দেব।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: শেষ প্রশ্ন হিসেবে জানতে চাই। জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে। সেখানে বাংলাদেশের কেমন সম্ভাবনা দেখছেন?

কাটিং: আমার মনে হয় তারা ভালো করবে। এর বড় কারণ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকার উইকেট উপমহাদেশের উইকেটের মতো, একটু ধীরগতির ও নিচু হবে। আমার মনে হয় এটা বাংলাদেশ, ভারত বা পাকিস্তান বলেন বা আরও যে দুটি দল আছে তারা চোখ রাঙাবে। তাই আমার মনে হয় ২০২৪ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো করার বড় সুযোগ আছে।