আইপিএল
‘আইপিএল নিলামে শাহীন আফ্রিদি-হারিসরা মিলিয়ন ডলার দাম পাবে’

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় ২০০৮ সালের পর থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলা হচ্ছে না পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। তারা খেলার সুযোগ পেলে নিলামে বড় দাম হাঁকাতেন হারিস রউফ এবং শাহীন শাহ আফ্রিদির মতো পেসাররা, এমনটাই মনে করেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার ও টম মুডি।
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরে খেলেছিলেন পাকিস্তানের ১১ ক্রিকেটার। সেবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন উমর গুল, সালমান বাট, মোহাম্মদ হাফিজ এবং শোয়েব আখতার। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে দেখা গিয়েছিল মিসবাহ উল হককে।

ডেকান চার্জার্সের হয়ে শহীদ আফ্রিদি, দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসের হয়ে শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ আসিফ আর রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে খেলেছিলেন সোহেল তানভির, ইউনিস খান এবং কামরান আকমল। যেখানে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছিলেন তানভির। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আইপিএলে নিষিদ্ধ করায় খেলার সুযোগ মিলছে না শাহীন আফ্রিদি, বাবর আজমদের।

পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার সুযোগ থাকলে বর্তমান সময়ের কারা সুযোগ পেতেন? ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপকালে এমন প্রশ্নে পেসার রউফ, বাঁহাতি এই ব্যাটার ফখর জামান ও উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বেছে নিয়েছেন। যেখানে হারিস সবচেয়ে বেশি টাকা পেতেন বলে মনে করেন তিনি।

মাঞ্জরেকার বলেন, ‘হারিস রউফ অন্যতম সেরা একজন ডেথ বোলার। তাদের(পাকিস্তানের) ব্যাটারের চেয়ে বোলাররা বেশি দাম পাবে পেতো বলে মনে হয়। তবে বেশ কয়েকটি দলের জন্য ফখর জামান ইন্টারেস্টিং চয়েজ হতো। রিজওয়ান এমন একজন যে অ্যাঙ্কর রোল প্লে করতে পারে। বাবর-রিজওয়ান একসঙ্গে ব্যাটিং করলে আমি চিন্তিত হই।’
মুডির বক্স অফিস হিট করা পছন্দের বোলার অবশ্য শাহীন আফ্রিদি। অস্ট্রেলিয়ান এই ক্রিকেট বিশ্লেষক মনে করেন, বাঁহাতি এই পেসার মিলিয়ন ডলারের দাম হাঁকাবেন। এদিকে শাহীন আফ্রিদির সঙ্গে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর, রিজওয়ান ও অলরাউন্ডার শাদাব খানকে রেখেছেন।
ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মুডি বলেন, ‘আমি শাহীন আফ্রিদি, বাবর আজম, রিজওয়ান এবং শাদাব খানকে বেছে নেবো। তাদের বেশ কয়েকজন দারুণ ক্রিকেটার আছে, বিশেষ করে এই ফরম্যাটে। আমার মনে হয় শাহীন নাম্বার ওয়ান পিক হতো। সে বক্স অফিস হতো।’