বোলিং নিয়ে মাতামাতির কিছু দেখছেন না শান্ত

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:38 মঙ্গলবার, 16 মে, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ব্যাটার হিসেবে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় কাটাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার তিনিই। ৩ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১ সেঞ্চুরিতে ১৯৬ রান। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও বটে।

যদিও সেঞ্চুরি নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি না হলেও আলোচনায় এখন শান্তর বোলিং। আইরিশদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে জমে গিয়েছিল হ্যারি টেক্টর ও লরকান টাকারের জুটি। একের পর এক বোলার ব্যবহার করেও উইকেট ফেলতে পারছিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

শেষ পর্যন্ত শান্তর হাতে বল তুলে দেন তিনি। নিজের পঞ্চম বলে হ্যারি টেক্টরকে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়ে অধিনায়কে স্বস্তি এনে দেন শান্ত। মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা জুটি ভেঙে তিনিই বাংলাদেশের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ৪ রানে।

এর আগেও ঘরোয়া ক্রিকেটে দলের প্রয়োজনে হাত ঘুরাতে দেখা গেছে শান্তকে। তবে এতো আলোচনা হয়নি কখনও। বোলিং নিয়ে এতো মাতামাতির কিছু দেখছেন না শান্ত নিজেও। মঙ্গলবার দেশে ফিরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। সেখানেই নিজের বোলিং নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

শান্ত বলেন, ‘বোলিংটা খুব ভালো হয়েছে বলবো না। তিন ওভার বল করেছি। অধিনায়ক বল দিলে চেষ্টা করবো আবারও ভালো বল করার। এটা নিয়ে খুব মাতামাতি করার কিছু নেই যে আমি একদিন তিন ওভার বল করে অনেক কিছু করে ফেলেছি। ’

বোলিংয়ে আসার আগে অধিনায়কের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘আমাকে শুধু বোলিং করার আগের ওভারে বলেছিল বোলিং করা লাগবে। ওভাবেই কথা হয়েছে। বেশির ভাগ কথা হয়েছে মিরাজের সঙ্গে, ও কীভাবে দশ ওভারের স্পেল শেষ করেছে। ওই পরিকল্পনায় বল করার চেষ্টা করেছি।’

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন শান্ত। যতক্ষণ ফিল্ডিং করেন ততক্ষণ তাকে দেখা যায় প্রাণবন্ত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে অনেক সময় ফিল্ডিং সাজাতেও অধিনায়ক তামিমকে সহায়তা করেছেন তিনি। শান্ত জানিয়েছেন, নিজের দিক থেকে সবসময় সহযোগীতার চেষ্টা করেন তিনি।

শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় দলে যখনই ফিল্ডিং করি, আমরা সবাই চেষ্টা করি সাহায্য করার। যদি কোনো আইডিয়া থাকে ওটা বোলার বা অধিনায়ককে দেওয়া। ওটা সবসময়ই চেষ্টা করি। আলহামদুলিল্লাহ করতে পেরেছি। এতে যদি দলের উপকার হয়ে থাকে তাহলে ভালো লেগেছে অবশ্যই। সবসময় চিন্তা থাকে কীভাবে দলের হয়ে অবদান রাখতে পারি অথবা ভালো ফিডব্যাক দিতে পারি। ’