ডিপিএল

সৌম্যর সেঞ্চুরিতে জিতে শেষ করল মোহামেডান

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:27 শনিবার, 13 মে, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

লম্বা সময় ধরেই সৌম্য সরকারের ব্যাটে রান নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো ঘরোয়াতেও ছন্দহীন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ডিপিএলের এবারের আসরে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৫৬ ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৪১ রান ছাড়া তেমন কিছুই করতে পারেননি। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুটা করেছিলেন ছবির মতো করে। হঠাৎই হারিয়ে যেতে বসা সৌম্যকে নিয়ে আক্ষেপের কমতি নেই।

অবশেষে সেইসব সমর্থকদের আক্ষেপ যেন খানিকটা ফুরোলো। ডিপিএলের শেষ ম্যাচে মাশরাফি বিন মুর্তজার রূপগঞ্জের বিপক্ষে খেলেছেন ১০২ রানের ইনিংস। সৌম্যর এমন ইনিংসের সঙ্গে রুবেল মিয়ার আক্ষেপে পোড়ানো ৮৭ রানের ৪ উইকেটে জিতল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তাদের দুজনের ব্যাটে ম্লান হয়েছে সাব্বির রহমানের ৮২ এবং ইরফান শুক্কুরের ৭৮ রানের ইনিংস।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ২৯৯ রান তাড়ায় শুরুটা বেশ ভালো করে মোহামেডান। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৯ রান তোলেন মোহামেডানের দুই ওপেনার সৌম্য ও রুবেল। শুরু থেকে খানিকটা ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন সৌম্য। যার ফলে হাফ সেঞ্চুরি পেতে ৬৫ বল খেলতে হয় বাঁহাতি এই ওপেনারকে। মাশরাফির বলে ফাইন লেগ দিয়ে চারে মেরে ডিপিএলের এবারের আসরে দ্বিতীয়বারের মতো পঞ্চাশ স্পর্শ করেন তিনি।

তাদের দুজনের ব্যাটে ২১ ওভারে একশতে পৌঁছায় মোহামেডান। এদিকে সৌম্যর পর হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন রুবেলও। তিনিও মাশরাফিকে লং অন দিয়ে চার মেরে ৬০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। পঞ্চাশ পেরোনোর পর দ্রুত রান তুলতে থাকেন সৌম্য। রুবেল ছিলেন আরও দ্রুতগতির। ফলে ২৯ ওভারে দেড়শ ছুঁয়েছে তারা। অর্থাৎ পরের পঞ্চাশ করতে তাদের দুজনের লেগেছে ৮ ওভার।

এদিকে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে সেঞ্চুরি হাত ছাড়া করেছেন রুবেল। চিরাগ জানির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে থাকা ফারদিন হাসান অনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯০ বলে ৮৭ রান করা এই ব্যাটার। রুবেল ফেরার কিছুক্ষণ পর তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন সৌম্য। মুক্তার আলীকে লং অন দিয়ে চার মেরে ১০৭ বলে সেঞ্চুরি করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

৬৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা সৌম্য পরের পঞ্চাশ করেছেন ৪২ বলে। তবে সেঞ্চুরির পর টিকতে পারেননি সৌম্য। মাশরাফির বলে ডিপ মিড উইকেটে থাকা রাজিবুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১০২ রান করা এই ব্যাটার। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আরিফুল ইসলাম এবং শুভাগত হোম দ্রুত ফিরলেও মোহামেডানের জয় পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। ৪২ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস খেলে মোহামেডানের জয় নিশ্চিত করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান তোলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তাদের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৮২ রান করেছেন সাব্বির। এ ছাড়া ইরফান ৭৮, ফারদিন ৪৪ এবং চিরাগ ৩৩ রান করেছেন। মোহামেডানের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি।