ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩

শিরোপা পুনরুদ্ধার আবাহনীর

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:11 শনিবার, 13 মে, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

শিরোপা জয়ের সুযোগ ছিল দুই দলেরই। কিন্তু অলিখিত ফাইনালে শেষ হাসিটা হাসল আবাহনী লিমিটেড। শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ২০২১-২২ মৌসুমের পর আবারও শিরোপা জিতল মোসাদ্দেক হোসেনের দল। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের মর্যাদা পাওয়ার পর এটি খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যদের পঞ্চম শিরোপা। এছাড়া দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টে এটি তাদের ২২তম শিরোপা।

জয়ের জন্য ২৮২ রানের বড় লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো করে আবাহনী। নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে শুরু থেকে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন দলটি। উদ্বোধনী জুটিতে কোন উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান স্কোরবোর্ডে তোলেন দুজন।

এরপর শেখ জামালের বোলারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে নিয়মিত বিরতিতে রান যোগ করতে থাকেন নাঈম-বিজয়। চোখের পলকে কোন উইকেট না হারিয়ে একশো রানের জুটি গড়ে ফেলেন তারা। তাদের ব্যাটে দেড়শোর পথেও এগোচ্ছিল আবাহনী। 

দুই ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু দলীয় ১৪৫ রানে তাইবুর রহমানকে সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে আরিফ আহমেদের তালুবন্দি হন নাঈম। ৭৯ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন তিনি। এর ৪ রান পরই সাজঘরে ফেরেন বিজয়।

আরিফকে সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন এই ব্যাটার। ৮১ বলে ফেরেন ৭২ রান করে। খানিক পর তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়ও বিদায় নেন দ্রুত। ১৮ বলে ৯ রান করে তাইবুরের শিকার হরে ফেরেন তিনি। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পরে আবাহনী।

জাকের আলী অনিক ও আফিফ হোসেন মিলে হাল ধরে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। তবে দলীয় রান ২০০ হওয়ার আগে অনিক ফেরেন ২৮ বলে ২১ রান করে। তবে সঙ্গী হারালেও মোসাদ্দেককে নিয়ে জুটি গড়ে জয়ের পথে হাঁটতে থাকেন আফিফ।

দলকে ২৫০'র ঘরে নিয়ে গিয়ে মোসাদ্দেক ২২ বলে ২২ রান বিদায় নেয়ার খানিক পর ফেরেন খুশদিল শাহও। তবে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান আফিফ। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে চার মেরে আবাহনীর শিরোপা নিশ্চিত করেন তানজিম সাকিব। আফিফ অপরাজিত থাকেন ৬০ রানে। 

এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে ১৬ রান তুলতেই ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে শেখ জামাল। ০ রানে ফেরেন সাইফ হাসান। ৮ রানে খুশদিলকে উইকেট দিয়ে ফেরেন সৈকত আলী ও ৫ রানে বিদায় নেন রবিউল ইসলাম রবি। দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও তাইবুর রহমানকে নিয়ে জুটি গড়েন ফজলে মাহমুদ।

এই দুজনের ব্যাটে বিপর্যয় সামাল দিয়ে দলের স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করে শেখ জামাল। দেখে শুনে দুই ব্যাটারই হাঁটতে থাকেন হাফ সেঞ্চুরির পথে। তবে দলীয় রান ১০০ হওয়ার আগে ৭০ বলে ৪০ রান করে বিদায় নেন রাব্বি। এরপর ক্রিজে এসে তাইবুরকে নিয়ে জুটি গড়েন নুরুল হাসান।

তাদের ব্যাটে দেড়শোর পথে হাঁটলেও দলীয় ১৩৯ রানে তাইবুর ফেরেন হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর। ৮৫ বলে ৫৩ রান করে এই ব্যাটার বিদায় নিলেও পারভেজ রসুলকে নিয়ে দলের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যান নুরুল। এই জুটিতে দল পৌঁছে যায় ২০০'র ঘরে।

নুরুল তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ২২২ রানে ৩৭ বলে ৪২ রান করে পারভেজ ফিরে গেলেও জিয়াকে নিয়ে দলের জন্য রান তুলতে থাকেন নুরুল। দলকে ২৫০'র ঘরে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সেঞ্চুরির জন্য এগোতে থাকেন শেখ জামাল অধিনায়ক। যদিও শেষ পর্যন্ত ৮৯ রানে অপরাজিত থাকতে হয়েছে তাকে। শেষ বলে জিয়া রান আউট হলেও ৭ উইকেটে ২৮১ রানের পুঁজি পায় শেখ জামাল।