ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩

প্রাইমকে হারিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে থাকলো শেখ জামাল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:52 রবিবার, 07 মে, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগে আবারও জয় তুলে নিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। রবিবার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ১৩ রানে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল। ২৭৭ রানের লক্ষ্যে নেমে ২৬৩ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক।

এদিন জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা নড়বড়ে হয় প্রাইম ব্যাংকের। স্কোরবোর্ডে ১০ রান তুলতেই জাকির হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুন আলীর উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। তবে জোড়া ধাক্কার পর দলের হাল ধরেন শাহাদাত হোসেন দিপু ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিল।

দুজন মিলে হাল ধরে দলকে নিয়ে যান পঞ্চাশের ঘরে। শেখ জামালের বোলারদের কোন প্রকার সুযোগ দেননি তারা। তাদের ব্যাটে ভড় করেই দলের রান পৌঁছে যায় একশোতে। দুই ক্রিকেটারই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে দলীয় দেড়শোর আগে বিপদ আসে প্রাইম ব্যাংক শিবিরে। 

দলীয় ১৪৬ রানে সাজঘরে ফেরেন দিপু। ৬৬ রানে সাইফ হাসানকে উইকেট ছুঁড়ে দেন তিনি। এক রান পরই আউট হন নাবিল (৭৫ রান)। যদিও নাবিলের আউট নিয়ে ছিল বিতর্ক। আম্পায়ার আউট না দিলেও সাজঘরে হাঁটা দেন এই তরুণ।

জোড়া উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে প্রাইম ব্যাংক। ১৬৬ রানে নাসির ও ২০০'র আগে ফিরে যান অলক কাপালি। ২০০ পার করলেও বাকিদের দ্রুত আসা-যাওয়ার মিছিলে ম্যাচ থেকে ছিটকেই গিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। কিন্তু শেষের দিকে শেখ মেহেদী ক্যামিও ইনিংস খেলে দলকে আশা দেখান।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রাইম ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল ১৪ রানের। কিন্তু মেহেদী থামিয়ে শেখ জামালের জয় নিশ্চিত করেন শহিদুল ইসলাম। ২২ বলে ৩৫ রান করে আউট হন মেহেদী। ৪৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শফিকুল ইসলাম। ১৩ রানের জয় পায় সোহানবাহিনী।

এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে শুরুটা ভালো করে শেখ জামাল। তবে উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রান যোগ করেও ৬৩ রানে সৈকত আলীকে হারায় শেখ জামাল। তবে পরের উইকেটে দলের হাল ধরেন ফজলে রাব্বি ও সাইফ হাসান। তাদের ব্যাটে দলীয় রান ১০০ পেরিয়ে হাঁটতে থাকে ১৫০'র পথে।

হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাইফ। তবে ফজলে রাব্বিকে ফিরিয়ে প্রাইম ব্যাংককে ম্যাচে ফেরান কাশিফ ভাট্টি। এমনকি সাইফকেও দ্রুত তুলে নেন তিনি। ৮৩ রানে আউট হন সাইফ। জোড়া উইকেট হারালেও নুরুল হাসান সোহান হাল ধরেন দলের। 

শেষের দিকে জিয়াউর রহমান ১৬ বলে ২৭ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন। সোহান ফিরে যান ৪৫ বলে ৫৩ রান করে। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৬ রানের পুঁজি পায় শেখ জামাল। ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন কাশিফ ভাট্টি।