আয়ারল্যান্ড - বাংলাদেশ সিরিজ

‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের কন্ডিশন’

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:50 শনিবার, 06 মে, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

কদিন আগে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। তিন সংস্করণেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসানরা। তবে আইরিশ সফর সহজ হবে না বলে মনে করেন হাবিবুল বাশার সুমন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক মনে করেন, আয়ারল্যান্ডের চেয়েও বড় প্রতিপক্ষ হবে ইংল্যান্ডের কন্ডিশন।

লম্বা সময় ধরেই ঘরের মাঠে দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং ইংল্যান্ডের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। নিজেদের মাটিতে দুর্দান্ত বাংলাদেশের এবারের মিশন বিদেশি সফর। যেখানে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।

২০১৯ সালের পর এবারই প্রথম ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলবে বাংলাদেশ। বৃষ্টির মৌসুম হওয়ায় ইংলিশ কন্ডিশন বাংলাদেশের জন্য খানিকটা কঠিন হতে পারে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার উপর ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নির্ভর করবে বলে মনে করেন বাশার।

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বাশার বলেন, ‘আমার মনে হয়, প্রতিপক্ষ হিসেবে আয়ারল্যান্ড যখন ওদের মাটিতে খেলা হয় তখন খুব ভালো একটা প্রতিপক্ষ। তবে আমাদের জন্য বড় প্রতিপক্ষ কন্ডিশনটা। আমরা কতটা মানিয়ে নিতে পারছি, তার ওপরে আমাদের পারফরম্যান্সটা নির্ভর করবে।’

‘দল হিসেবে তো আমরা খুব ভালো খেলছি। সবাই আত্মবিশ্বাসী, খুব ভালো খেলছে। তবে কন্ডিশনটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমার মনে হয়, এই সিরিজটা বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমাদের জন্য শক্ত মোকাবিলা হতে পারে আয়ারল্যান্ড প্রতিপক্ষ।’

সিরিজ শুরুর আগে ক্যামব্রিজ স্কুল মাঠে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে বেশ খানিকটা সময় বৃষ্টি হওয়ার ফলে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে আয়ার‌ল্যান্ড উলভসের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা হয়নি তামিম ইকবালের দলের। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হতো বলে মনে করেন বাশার। সেই সঙ্গে জুলাই-আগস্টে সিরিজটি হলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হতো বলে জানান তিনি।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজের আশা ব্যক্ত করে বাশার বলেন, ‘সিরিজটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমাদের একটা (প্রস্তুতি) ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল। ম্যাচটা খেলতে পারলে আমাদের জন্য খুব ভালো হতো। যদিও প্র্যাকটিস করার কিছুটা সুযোগ পাচ্ছি, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় পাচ্ছি হাতে। তবে একটা ম্যাচ খেলতে পারলে খুব ভালো হতো। কারণ কন্ডিশন পুরোপুরি ভিন্ন।’

‘যদি জুলাই-আগস্ট মাসে খেলা হতো, আমাদের জন্য ভালো হতো। কারণ ওই সময় ইংল্যান্ডের উইকেট একদম শুষ্ক থাকে। যেটা আমাদের ফেভারে থাকত। আমরা সবসময় ওই সময় ইংল্যান্ডে ভালো খেলি। কিন্তু এই মে মাসের দিকে উইকেট একটু সফট থাকে, বৃষ্টি হয়। কন্ডিশনটা কিন্তু খুব চ্যালেঞ্জিং।’