বাংলাদেশ - আয়ারল্যান্ড সিরিজ

হাসান ১০ উইকেট পাক, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমি: তাসকিন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:07 সোমবার, 27 মার্চ, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সবশেষ কবছরে একটু একটু করে নিজেদের উন্নতি করা পেস ইউনিট যেন হঠাৎই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। ইংল্যান্ডের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও পুরোদমে চলছে হাসান মাহমুদ-তাসকিন আহমেদদের দাপট। এখনও বিশ্বের সেরা পেস ইউনিট হয়ে উঠতে না পারলেও উন্নতির গ্রাফটা যে উর্ধ্বমূখী সেটা বলার অপেক্ষা রাখেন না।

পেস ইউনিটের এমন বদলে যাওয়ার পেছনের নায়ক তাসকিন, হাসান, ইবাদত হোসেন চৌধুরি, মুস্তাফিজুর রহমানরা। গতি, সুইং আর ইয়র্কারে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন হাসান-তাসকিনরা। উইকেট নেয়ার প্রতিযোগিতায় দারুণভাবে মেতে উঠেছেন তারা। তবে তাসকিন বলছেন তাদের নিজেদের মাঝে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। বরং ডানহাতি এই পেসার চান হাসান ১০ উইকেট পাক।

সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বলেন, ‘আরও ভালো করুক, ১০ উইকেট করে নেক আমি চাই। কারণ আমি তো আগেই বললাম পাঁচজনই ভাই। সবাই যত ভালো করবে, প্রতিপক্ষ চাপ অনুভব করবে। কারণ ওরা কি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কি না? না। আমিই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি চাইবো সবাই মিলে ভালো করতে।’

‘তাহলে বিশ্ব ক্রিকেটে একটা হুমকি যাবে যে বাংলাদেশের পেস বোলাররা উন্নতি করতেছে। ও ১০ উইকেট নিলেও আমার কোনো ক্ষতি নাই বা আমার উন্নতি নাই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমি, আমার বেস্ট রেকর্ডটা ভেঙে আরও ভালো করতে চাই। দোয়া করি সবাই ভালো করুক।’

সবশেষ কয়েক বছরের উন্নতির ফল মিলেছে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড সিরিজে। এককভাবে সেরা না হয়ে পুরো পেস ইউনিট হিসেবে বিশ্বমানের হতে চান তাসকিন। স্কোয়াডে থাকা পেসারদের চাওয়াটাও তেমনই বলে জানান ডানহাতি এই পেসার। সবাই পরিবারের অংশ এবং ভাইয়ের মতো বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন তাসকিন।

খানিকটা উন্নতি হলেও পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়া এখনও বাকি বলে মনে করন ২৭ বছর বয়সি এই পেসার। দলের সবাই ঠিক সেই পথেই আছে বলে জানান তিনি। একদিন বিশ্বমানের হওয়ার স্বপ্নটা বাংলাদেশের পেস ইউনিটের পূরণ হবে বলে বিশ্বাস করেন তাসকিন।

তিনি বলেন, ‘সবাই সবার দিক থেকে চিন্তা করতেছে। ইউনিট হিসেবে যদি সবাই বিশ্বমানের বোলার থাকি, এই ইউনিটকে সামলাতে একটু সমস্যাই হবে। বড় বড় দলগুলোতে কিন্তু একজন না, চার-পাঁচজন ভালো বিশ্বমানের পেসার থাকে। আমরাও চাচ্ছি আমাদের ওরকম হোক। যেহেতু আমরা সবাই পরিবারের অংশ পেস বোলাররা, ভাইয়ের মতো।’

‘একে-অন্যজনকে সাহায্য করতেছে, সবাই সবার ভালো চেয়ে কিন্তু শেষ দুই-আড়াই বছরে উন্নতি চোখে পড়ছে। এখনও আমাদের নেক্সট লেভেলে যাওয়া বাকি। আমি মনে করি আমরা ঠিক পথে আছি, মাইন্ডসেটটাও ভালো। ইন শা আল্লাহও আমাদের এই স্বপ্নটাও পূরণ হবে আমরা সবাই বিশ্বমানের।’