ডিপিএল

৬ হাফ সেঞ্চুরির ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের জয়ের নায়ক আজমির

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:14 শনিবার, 25 মার্চ, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

শুরুতে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে হারালেও সিটি ক্লাবকে টানতে থাকেন তৌফিক খান তুষার ও শাহরিয়ার কমল। হাফ সেঞ্চুরির পর তারা দুজন ফেরার পর রাফসান আল মাহমুদও স্বপ্ন দেখিয়েছেন তাদের। তবে সেটার পূর্ণতা দিতে পারেনি কেউই। শেষ দিকে আসিফ আহমেদ রাতুলের ব্যাটে কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে দলটি। দুই ইনিংস মিলে ৬ হাফ সেঞ্চুরির দিনে ১৮ রানের জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ২৯২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি সিটি ক্লাব। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় তারা। মোহাম্মদ শরিফুল্লাহর বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে আজিম নাজির কাজির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ১ রান করা মামুন।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তৌফিক ও শাহরিয়ার। দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তৌফিক। আরাফাত সানির বলে লং অনের উপর দিয়ে উড়িয়ে মেরে ৫৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ওপেনার। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তৌফিক।

পরের ওভারে জাহিদ জাভেদের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে শরিফুল্লাহকে ক্যাচ দেন ৫৯ রান করা এই ব্যাটার। তৌফিক আউট হওয়ার পর ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন শাহরিয়ার। তৌফিকের মতো তিনিও ফিরেছেন পঞ্চাশ পেরোনোর পরই। ৬৮ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে শরিফুল্লাহর বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন শাহরিয়ার।

চারে নেমে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন রাফসানও। আজমির আহমেদের বলে স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে এক রান নেন তিনি। তাতে ৬৭ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া হয় রাফসানের। শাহরিয়ার ও তৌফিকের মতো হাফ সেঞ্চুরির পরই আউট হয়েছেন ৫৩ রান করা রাফসান।

রাতুল ৪৬ রানের ইসিংস খেললেও সিটি ক্লাবের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষ দিকে সাইফুল ইসলাম ও অধিনায়ক রবিউল হক ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারায় ১৮ রানে হারতে হয় সিটি ক্লাবকে। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে শরিফুল্লাহ তিনটি, এনামুল হক দুটি এবং সানি, আবু হায়দার রনি ও জাভেদরা নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৯১ রানের পুঁজি পায় অগ্রণী ব্যাংক। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৮৯ রান করেছেন আজমির। এ ছাড়া আজিম কাজি ৬৬ ও মার্শাল আইয়ুব ৬২ রানের ইনিংস খেলেছেন। সিটি ক্লাবের হয়ে রবিউল চারটি ও তৌফিক তিনটি উইকেট নিয়েছেন।