জন্মদিনে সাকিবের মহতী উদ্যোগ, প্রতিষ্ঠা করলেন ক্যান্সার ফাউন্ডেশন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:20 শুক্রবার, 24 মার্চ, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

শুক্রবার ৩৭ বছর বয়সে পা রাখলেন সাকিব আল হাসান। এমন দিনে মহৎ এক উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন তিনি। এদিনই যাত্রা শুরু করেছে 'সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশন'। মূলত দেশের সুবিধাবঞ্চিত ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় কাজ করবে সাকিবের এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।

এখানেই থামতে চান না এই টাইগার অলরাউন্ডার। তিনি গড়তে চান একটি বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতালও। সেই স্বপ্ন পূরণে শুক্রবার এক ধাপ এগিয়ে গেলেন সাকিব। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়কের এমন ঘোষণার দিনে সাকিবের পাশে ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও।

এ ছাড়া সাকিবের ছেলেবেলার কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমও ছিলেন এই অনুষ্ঠানের সঙ্গী। মানবিক কাজে উদ্যোগী সাকিবকে এবারই প্রথম দেখা যাচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতিতেও সাকিব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন 'সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন' নামের আরেকটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।

এবার নিজের নতুন এই উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেছেন, 'ক্যান্সারকে সবাই মরণব্যাধি বলে। তবে এর ভয়ে পিছিয়ে থাকলে তো চলবে না। আমাদেরকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, মানুষকে সাহস দিতে হবে, দেখাতে হবে আশা। আমরা সবাই মিলে সেই কাজটি করতে চাই। যত ক্ষুদ্র পর্যায়ে থেকেই হোক না কেন। সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশন এইসব মানুষের জন্য কাজ করতে চায়, যাদের সামর্থ্য নেই ক্যান্সারের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়ার, যাদের সামর্থ্য নেই ক্যান্সার ডায়াগনোসিস করার।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা যদি একজন, একশ জন বা এক হাজার জন মানুষকেও সাহায্য করতে পারি, সেটিই আমাদের জন্য বড় অর্জন হবে। আমাদের স্বপ্নটা বড়, একটা ক্যান্সার হাসপাতাল করার। যেখানে পরিপূর্ণ আধুনিক চিকিৎসার সকল সুবিধা থাকবে। তবে একদমই কম খরচে। মানুষ যে হাসপাতালে এসে হাসি মুখে বাড়ি ফিরবে। গর্ব করে বলবে, বাংলাদেশেও এমন একটি হাসপাতাল আছে। স্বপ্নটা বিশাল। হয়তো এখনই সম্ভব নয়। তবে একদিন নিশ্চিত হবে।'

পরবর্তীতে একটি ডায়াগনোসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার। এর আগে দেশের মানুষের মাঝে ক্যান্সার সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চান তিনি। যাতে করে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়লে দ্রুত নিরাময়ের সহায়তা পান সাধারণ মানুষ।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'একটা ডায়াগনোসিস সেন্টার করতে চাই। তারও আগে চাই মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে। আমার কাছে মনে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, অনেক আর্লি স্টেজে যদি এটা ধরা পড়ে কিংবা শুরুতেই ডায়াগনোসিস করা যায়, তাহলে আমার মনে হয় এখন অনেক ভালো চিকিৎসা আছে। যার মাধ্যমে মানুষ অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারবে।'

সাকিবকে সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়ে পাপন বলেছেন, 'আমি শুধু এটুকু বলবো সাকিবের এই উদ্যোগটা একটা মহতী উদ্যোগ। অবশ্যই আমাদের সাহায্য থাকবে যেকোনো সময়, যেখানে যা লাগে। একটা সুবিধা আছে আমি আবার ওষুধ শিল্প সমিতিরও সভাপতি। অবশ্যই ফার্মাসেটিকেল কোম্পানি যারা ওষুধ বানাচ্ছি বাংলাদেশে, তারা তোমাদেরকে; এই প্রতিষ্ঠানকে যখন যা দরকার সাহায্য করবে। এই ব্যাপারে আমি কথা দিচ্ছি। আমার তরফ থেকে শুধু সাকিব না, এটার সঙ্গে যারা যারা জড়িতত আছে, সবাইকে বলে রাখছি। পূর্ণ সমর্থন সবসময় পাবে।'