বাংলাদেশ - আয়ারল্যান্ড সিরিজ

পেসারদের এই সাফল্য ফ্লুক নয়, বলছেন তামিম

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:59 বৃহস্পতিবার, 23 মার্চ, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ম্যাচের আগেরদিনই পেসারদের নিয়ে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন অ্যালান ডোনাল্ড। বছরখানেক ধরে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করা ডোনাল্ড নিজেদের কাজ করার প্রক্রিয়ার কথাও সামনে এনেছিলেন। প্রতিপক্ষের ঘায়েল করতে ছোট ছোট ট্যাকটিক্যাল বিষয় নিয়ে বেশি সময় পার করেন বাংলাদেশের পেসাররা। লম্বা সময় ধরেই পেসারদের উন্নতিটা চোখে পড়ার মতো।

সিলেটে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দেখা মিলেছে পুরো পেস ইউনিটের সামর্থ্যের পুরোটা। মেঘলা কন্ডিশনের সঙ্গে উইকটে হালকা ঘাস, তাতে বাড়তিই সুবিধাই লুকিয়ে ছিল পেসারদের জন্য। আগে বোলিং করতে নেমে সেটাই কাজে লাগালেন হাসান মাহমুদ-তাসকিন আহমেদ-ইবাদত হোসেনরা।

গতি, সুইং আর বুদ্ধিমত্তার মিশেলে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের এই পেসার। প্রথমবারের মতো কোনো ওয়ানডে ম্যাচে ১০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন তারা। হাসান-তাসকিনদের এমন পারফরম্যান্সে গর্বিত তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের চোখে, পেসারদের সফলতা কোনো ফ্লুক নয়। বরং নিজেদের পরিশ্রমের ফলই পাচ্ছেন ইবাদতরা।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘হ্যাঁ। আমি যদি শুধু এটা বলি যে তারা দারুণ বল করেছে, এটা বলাটা ভুল হবে। আমার কাছে মনে হয়, মাঠের বাইরে যে কাজটা তারা করেছে, এটা এখন মাঠে কাজে দিচ্ছে। তাদের এই সফলতা ফ্লুক নয়, তারা নেটে কঠোর পরিশ্রম করছে। আপনার হাতে যখন এমন একটা পেস বোলিং অ্যাটাক থাকবে, তখন কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়।’

‘আপনি যেখানেই খেলছেন, হোম হোক বা অ্যাওয়ে, যে কোনো জায়গায় আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠবেন। পুরো পেস বোলিং ইউনিটকে নিয়েই গর্ব হয় আমার। শুধু হাসান পাঁচ উইকেট পেয়েছে বলেই নয়, অন্য কেউ তিন-চার উইকেট পেয়েছে বলে নয়, যেভাবে তারা বল করেছে পুরো সিরিজে সেটা বেশ তৃপ্তি দিয়েছে।’

ঘরের মাঠে খেলা হলে বেশিরভাগ সময় স্পিনারদের ঘিরে পরিকল্পনা সাজায় বাংলাদেশ। বেশিরভাগ খেলা মিরপুরে হওয়ায় উইকেট বরাবরই স্পিন-সহায়ক হয়ে থাকে। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেখা মিলেছে ভিন্ন উইকেটের। ব্যাটাররা যেমন সুবিধা পেয়েছেন, তেমনি সুবিধা ছিল পেসার কিংবা স্পিনারদের জন্যও।

প্রথম ১০-১৫ ওভারে উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন পেসাররা। ফলে সুইংয়ের সামনে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল তামিম কিংবা লিটনের জন্য। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভালো হতে থাকে উইকেট। ব্যাটাররা শট খেলার সুযোগ পেয়েছেন প্রাণখুলে। বিশ্বকাপের কথা ভেবে এমন উইকেটে খেলা হচ্ছে বলে জানান তামিম।

বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘ইংল্যান্ড সিরিজেই আমি বলেছি আপনারা ভবিষ্যতে দেখবেন আমরা এমন উইকেটে খেলব। একটা ওয়ানডে চট্টগ্রামে যাওয়াটা একটা পদক্ষেপ ছিল। এখানে এসে আমরা উইকেটে ভালো পরিমানে ঘাস রেখে দিয়েছি। সাধারণত ঘাসের উইকেটে আমরা খুব বেশি খেলি না।’

‘বিশ্বকাপের কথা ভেবে, সামনের যে সিরিজগুলো আছে, এ কারণেই এমন উইকেটে খেলা। কারণ, আপনি যখনই এই ধরনের উইকেটে খেলবেন, বিশেষ করে ঘরের মাঠে, তখন লড়াইটা সমান হয়ে যায়। কারণ ওদের যে ফাস্ট বোলার আছে, ওরা কিন্তু ওদের দেশে এই ধরনের উইকেটে বল করতেই অভ্যস্ত। আমরা চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলাম, খেলোয়াড়রাও দারুণভাবে সাড়া দিয়েছে।’