হাথুরুসিংহের সংবাদ সম্মেলন

'বয়স বেড়েছে', হাথুরুসিংহেকে দেখা যাবে নতুন রূপে

সৈয়দ সামি

সৈয়দ সামি
প্রকাশের তারিখ: 16:15 বুধবার, 22 ফেব্রুয়ারি, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

চান্দিকা হাথুরুসিংহের দাঁড়ির সাদা রংটা আগের চেয়েও গাঢ় হয়েছে। চশমাটার পাওয়ারও নিশ্চয়ই আগের চেয়ে বেড়েছে। আগের মতোই কি কড়া 'হেডমাস্টার' আছেন? সেটা জানা যাবে হয়ত কদিন পরেই। তবে আদতে দায়িত্বের চাপটা আগের তুলনায় অনেক বেশি।

২০১৪ সালে হাথুরুসিংহে যখন বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন সবে মাত্র বড় দলগুলোর বিপক্ষে জিততে শুরু করেছে বাংলাদেশ। হাথুরুসিংহের হাত ধরেই সেই সাফল্যে এলো ধারাবাহিকতা। দিনে দিনে ঘরের মাঠে নিজেদের পরাশক্তি হয়ে উঠলো।

এই লঙ্কান কোচের বিদায়ের পর বাংলাদেশ দলের সেরা সাফল্য বলতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে পুনরায় সিরিজ জয়। সাউথ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয় কিংবা আয়ারল্যান্ডের মাটিতে তৃতীয় সিরিজ জয়।

হাথুরুসিংহের প্রত্যাশার পাশে এবার হাওয়াটা যে দ্বিগুণ হবে সেটা বলে দেয়াই যায়। হাথুরুসিংহে যাওয়ার পর ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেললেও শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। এরপর ২০১৯ বিশ্বকাপে তো গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ যেতে হয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বেও কোনো জয়ের দেখা যায়নি বাংলাদেশ।

এতসব না পাওয়াকে সাফল্যে রূপ দিতে সবাই চেয়ে থাকে এই লঙ্কান কোচের দিকেই। আগের রেখে যাওয়া কোচিং স্টাফদের কেউই নেই বর্তমান দলের সঙ্গে। আগের ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই দল ছাড়া। হাথুরুসিংহের হাত ধরে যেই লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমানদের শুরু তারা এখন আরও পরিপক্ব। তারা এবার হাথুরুসিংহের স্বপ্নযাত্রার সারথি হতে পারেন কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে।

বুধবার মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে ছিল হাথুরুসিংহের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন। সেখানে এই কোচ জানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ছেড়ে গেলেও এ দেশের ক্রিকেটকে অনুসরণে রেখেছিলেন তিনি। বয়স যেহেতু বেড়েছে কোচিংয়ে কিছুটা ভিন্নতা আসবেই। টাইগার কোচের ভাষ্য, 'কিছুটা বয়স বেড়েছে। কিছু তো পরিবর্তন আসবেই।'

দূরে থাকলেও এ দেশের অনেক ক্রিকেটার ও কর্মকর্তার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার। বাংলাদেশের চাকরি ছেড়ে হাথুরুসিংহে যখন শ্রীলঙ্কায় যোগ দেন তখন তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্টও ছিল বাংলাদেশে। এর সবই মনে আছে হাথুরুসিংহের।

তিনি বলেন, 'আমি চলে যাওয়ার পরও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনুসরণ করেছি। সময়ে সময়ে আমার সঙ্গে অনেক খেলোয়াড়, কর্মকর্তার যোগাযোগ হয়েছে। সেটা বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট সব সময়ই আমার হৃদয়ে আছে। কারণ, সেটা ছিল আমার প্রথম আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্ট। ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে ছিল আবার বাংলাদেশে ফিরবো। কিন্তু ভাবিনি এতোটা দ্রুত হবে।’

হাথুরুসিংহের প্রথম মেয়াদে ঘরের মাঠে স্পিন উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করাকে রীতিমতো অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এবারও এর ব্যতিক্রম থাকছে না এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং ইউনিটও বিশ্বমানের। তবুও সামর্থ্যের কথা ভেবেই দল সাজানোর আভাস দিলেন টাইগার কোচ।