বিপিএল

 ‘চোখে পড়েছে কিন্তু বেশি কিছু বলতে চাই না’

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:04 মঙ্গলবার, 31 জানুয়ারি, 2023

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||

১২ উইকেট নিয়ে বিপিএলের এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার বোলারদের মাঝে চারে রয়েছেন মাশরাফি। সবমিলিয়ে চারে থাকলেও বাংলাদেশিদের হিসেবে সিলেট স্টাইকার্সের অধিনায়কের অবস্থান দুইয়ে। রেজাউর রহমান রাজা সমান ১২ উইকেট পেলেও কম ম্যাচ খেলায় সবার উপরে তরুণ এই পেসার। তরুণদের ভিড়ে মাশরাফির এখনও উপরে থাকা খানিকটা চিন্তার কারণ হতে পারে বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য।

মাশরাফিকে এমন জায়গায় দেখে মনে হতেই পারে বাংলাদেশের পেসাররা বোধহয় বিপিএলে ভালো করতে পারেননি। তবে সেরা দশের দিকে তাকালে এই অনুমান ভুল হওয়ার কথা। বিপিএলের বেশিরভাগ আসরে বিদেশি পেসারদের দাপট দেখালেও গেলেও এবার সাফল্য পেয়েছেন দেশি পেসাররাও। সেরা দশ বোলারদের মাঝে রয়েছেন বাংলাদেশের ৫ জন পেসার।

যেখানে মাশরাফির সঙ্গী রাজা, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ এবং আল আমিন হোসেন। যদিও এর বড় কারণ হতে পারে বিপিএলের এবারের মৌসুমে বিদেশি তারকা পেসারের ঘাটতি। তবে সেটা যাই হোক না কেন বিপিএলে সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছে দেশের বেশ কয়েকজন পেসারের। রংপুর রাইডার্সের রবিউল হক, খুলনা টাইগার্সের নাহিদ রানারা হতে পারেন বাংলাদেশের ভবিষ্যত পেস ইউনিটের সম্পদ।

বিপিএলে প্রথমবার ধারাভাষ্য দিতে এসেছেন কার্টলি অ্যামব্রোস। ব্যাটারদের জন্য আতঙ্কের এক নাম ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দীর্ঘদেহী সাবেক এই পেসার। অ্যামব্রোসকে দেখে পেসার হয়েছেন এমন বোলারদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বিপিএলে বাংলাদেশের পেসারদের কেমন দেখলেন ক্যারিবীয় এই কিংবদন্তি?

তাসকিনকে বাদে আর কাউকে চোখে পড়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছিল অ্যামব্রোসের কাছে। খানিকটা সময় চুপ করে থেকে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বললেন, ‘কয়েকজনকে চোখে পড়েছে। কিন্তু আমি বেশি কিছু বলতে চাই না।’ অ্যামব্রোসের উত্তর বোধহয় এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছিলো যে বাংলাদেশের তরুণ পেসাররা তার মন ভরাতে পারেননি।

এদিকে বিপিএল সম্প্রচারে যে স্পিড গান ব্যবহার হচ্ছে তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। টিভি স্ক্রিনে পেসারদের গতি দেখা চোখ কপালে ওঠার মতো। দেশীয় অনেক পেসারের গতি দেখা গেছে ঘন্টায় ১৪৫ কিলোমিটারের বেশি। কখনও কখনও পেসারদের স্লোয়ার ডেলিভারিতে গতি দেখাচ্ছে ১৪২ কিংবা ১৪৩ কি.মি.। অনেকের টিভি স্ক্রিনে দেখানো গতির সঙ্গে বাস্তবতার তেমন মিল নেই।

যা নিয়ে সবার মাঝেই সংশয় তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে নিয়মিত ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করতে পারেন এমন পেসারের সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন। তাদের মাঝে একজন রুবেল হোসেন। স্পিড গানের দেখানো গতি নিয়ে খানিকটা সংশয় প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞ এই পেসার।

সংবাদ সম্মেলনে এসে রুবেল  বলেন, ‘আমি জানি না আসলে এই মিটারটা পুরোপুরি ঠিক আছে কি না...তারপরও একটা নতুন পেস বোলার যখন দেখে, তার বলের স্পিড ১৪৫ কিলোমিটার, তার ভেতরে কিন্তু অনেক ভালো লাগা কাজ করে…. কীভাবে আরও স্পিড বাড়ানো যায়। নিজের ভেতর আত্মবিশ্বাস...আমার কাছে মনে হয় খুবই ভালো লাগা কাজ করে।’

বাংলাদেশের পেসারদের এমন গতির কথা জানতে চাওয়া হয়েছিল অ্যামব্রোসের কাছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ পেসাররা ঘণ্টায় ১৪০-১৪৫ কি.মি. গতিতে বোলিং করছেন, এটা কিভাবে দেখছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যামব্রোস শুধু বললেন, ‘আমি জানি না।’