বিপিএল

সৌম্য-মিঠুনের ব্যাটে সাকিবের বরিশালকে হারাল ঢাকা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 13:16 মঙ্গলবার, 31 জানুয়ারি, 2023

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||

বেশ কয়েকবারই সংবাদ সম্মেলনে এসে ওপেনিং আর টপ অর্ডার নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন নাসির হোসেন। অধিনায়ক আক্ষেপ ঘুচাতে পারছিলেন না ঢাকা ডমিনেটর্সের ব্যাটাররা। অবশেষে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে জ্বলে উঠলো মোহাম্মদ মিঠুন-সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি। ৭৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ঢাকার জয়ের ভিত গড়ে দেন তারা দুজন। শেষ পর্যন্ত কোনো বিপদ ছাড়াই বরিশালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা।

সিলেটে জয়ের জন্য ১৫৭ রান তাড়া করতে নামা ঢাকা ওপেনিং নিয়ে খানিকটা জুয়া খেলে। এবারের বিপিএলে বেশিরভাগ ম্যাচে তিন কিংবা চারে ব্যাটিং করলেও বরিশালের বিপক্ষে মিঠুনকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয় সৌম্য সরকারের সঙ্গী হিসেবে। নতুন পজিশনে জায়গায় পেয়েই ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসেন মিঠুন।

সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে বরিশালের বোলারদের উপর শুরু থেকেই চড়াও হন। পুরো বিপিএলে পাওয়ার প্লেতে ধুঁকতে থাকা ঢাকা এদিন কোনো উইকেট না হারিয়ে রান তোলে ৫৫। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরও রান তোলার গতি সচল রাখেন তারা দুজন। তবে করিম জানাতের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে আউট হন সৌম্য।

বাঁহাতি এই ওপেনার ২২ বলে ৩৭ রান করে ফিরলে ভাঙে মিঠুনের সঙ্গে ৭৪ রানের জুটি। বিপিএলের এবারের মৌসুমে এটিই ঢাকার সবচেয়ে বেশি রানের উদ্বোধনী জুটি। সৌম্য ফিরলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিঠুন। সালমানের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে চার মেরে ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।

হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য সানজামুল ইসলামের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ৫৪ রান করা মিঠুন। এদিকে প্রথমবার ঢাকার একাদশে সুযোগ পেয়ে ২১ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। ঢাকার জয়ের জন্য যখন মাত্র ৬ রান দরকার তখন ১৫ রান করা ব্লেককে ফেরান সাকিব। ১ রানে আউট হন আরিফুল হকও। তবে ২০ রানে অপরাজিত থেকে ঢাকার জয় নিশ্চিত করেন নাসির।

টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা বেশ  ভালো করে বরিশাল। এনামুল হক বিজয় ও সাইফ হাসানের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪১ রান তোলে তারা। বরিশালের দুই ওপেনারই শুরু থেকে খানিকটা দেখেশুনে খেলছিলেন। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই অবশ্য তাদের জুটি ভাঙেন আমির হামজা।

বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে খানিকটা করে নিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা অ্যালেক্স ব্লেককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৫ রান করা সাইফ। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। মুক্তার আলীর অফ স্টাম্পের বাইরের গুড লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে থাকা আরিফুল হকের হাতে ধরা পড়েন।

সুবিধা করতে পারেননি ছন্দে থাকা ইফতিখার আহমেদ। নাসির হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ আউট হন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। ইফতিখারের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। সাবলীল ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি বিজয়ের।

সৌম্যর বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেটকিপার মিঠুনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৫ বলে ৪২ রান করা বিজয়। শেষ দিকে ৪২ রানের জুটি গড়ে তোলেন মাহমুদউল্লাহ ও সালমান হোসেন। শরিফুল ইসলামের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে ৩৯ রান করা মাহমুদউল্লাহ ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি।

যদিও শরিফুলের সেই ওভার থেকে ২০ রান নেন বরিশালের ব্যাটাররা। পরের ওভারে আউট হয়েছেন ১৪ রান করা সালমান। শেষ পর্যন্ত বরিশাল থামে ৮ উইকেটে ১৫৬ রানে। ঢাকার হয়ে হামজা দুটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাসির, সৌম্য, শরিফুল, সালমান এবং আল আমিন।