বিপিএল

ব্যাট হাতে রংপুরের জয়ের নায়ক মেহেদি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 13:13 সোমবার, 30 জানুয়ারি, 2023

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||

বিপিএলের এবারের আসরে বেশিরভাগ সময় টপ অর্ডারে সুযোগ পেলেও নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না শেখ মেহেদি। অবশেষে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন এই অলরাউন্ডার। বল হাতে এক উইকেট নেয়ার পর ব্যাটিংয়ে করেছেন ৭২ রান। তাতে মেহেদির অলরাউন্ড নৈপূণ্যে  ৫ উইকেটের জয় পায় রংপুর রাইডার্স।

সিলেটে জয়ের জন্য ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রংপুর। সালমান ইরশাদের নিচু হওয়া ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন নাইম শেখ। রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি কোনো রান করতে না পারা এই ব্যাটার। ৫ রানে উইকেট হারালেও রংপুরকে চাপে পড়তে দেননি শেখ মেহেদি ও রনি তালুকদারের জুটি।

পাওয়ার প্লের শেষ দিকে এসে ঢাকার বোলারদের ওপর চড়াও হন তারা দুজন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আমির হামজার বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৬ রান আনেন মেহেদি। শুরুটা ভালো না হলেও পাওয়ার প্লে শেষে রংপুরের রান এক উইকেট ৪৮। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি আরও বাড়াতে থাকে রংপুর।

তাদের দুজনের ৬৮ রানের জুটি ভাঙেন হামজা। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে থাকা তাসকিন আহমেদের হাতে ধরা পড়েন ২৯ রান করা রনি। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি শোয়েব মালিক। সালমানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৬ রান করা এই ব্যাটার।

শুরু থেকে দারুণ  ব্যাটিং করতে থাকা মেহেদি হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন মাত্র ৩১ বলে। হাফ সেঞ্চুরির পর আরও চড়াও হতে থাকেন। তবে তাকে সঙ্গে দিতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। সৌম্য সরকারের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রংপুরের অধিনায়ক।

ম্যাচ জিততে শেষ  ৪ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। এমন সময় আল আমিনের লেংথ ডেলিভারিতে বুঝতে না পেরে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৪৩ বলে ৭২ রান করা মেহেদি। শেষ দিকে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বরাবরের মতোই ভালো শুরু করতে পারেনি ঢাকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা মিজানুর রহমান। ওমরজাইয়ের ফুলার লেংথে ডেলিভারিতে ব্যাট ও প্যাডের মাঝে ফাঁকা থাকায় ৫ রানে বোল্ড হন ডানহাতি এই ওপেনার। আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পেলেও এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ সৌম্য।

ওমরজাইয়ের লেগ সাইডের ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে বল খানিকটা সুইং করায় টপ এজ হয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে শামিম হোসেন হাতে ধরা পড়েন ১১ রান করা সৌম্য। নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি চারে নামা অ্যালেক্স ব্লেক। মেহেদির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪ রান করা এই ইংলিশ ব্যাটার। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন উসমান। তবে তাকে ঠিকঠাক সঙ্গ দিতে পারেননি মিঠুন।

রকিবুল হাসানের বলে জায়গা করে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন এই ব্যাটার। অভিজ্ঞ মিঠুন আউট হয়েছেন ১৫ বলে ১৪ রান করে। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন উসমান। হাসান মাহমুদের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে চার মেরে ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আফগানিস্তানের এই ব্যাটার। এদিকে উসমানকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া নাসির হারিস রউফের বলে ছক্কা মেরে তাদের দুজনের ৫০ রানের জুটি পূর্ণ করেন।

পরের ওভারেই অবশ্য তাদের জুটি ভাঙেন হাসান। দারুণ এক থ্রোতে ২২ বলে ২৯ রান করা নাসিরকে রান আউট করেন ডানহাতি এই পেসার। এদিকে শেষ ওভারে হারিসের ওভারে এক চার ও দুই ছক্কায় ১৯ রান নেন উসমান। ফলে ১৪৪ রান তোলে ঢাকা। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা ডমিনেটর্স- ১৪৪/৫ (২০ ওভার) (উসমান ৭৩*, নাসির ২৯, মিঠুন ১৪, সৌম্য ১১; ওমরজাই ২/২৭)

রংপুর রাইডার্স- ১৪৬/৫ (১৯ ওভার) (মেহেদি ৭২, রনি ২৯, নওয়াজ ১৭*; সালমান ২/৩৬)