বিপিএল

মাশরাফির শততম ম্যাচ রাঙালেন শান্ত-বার্লরা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:08 শনিবার, 28 জানুয়ারি, 2023

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||

নাজমুল হোসেন শান্তর হাফ সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং দৃঢ়তা ম্যাচে বেশ ভালোভাবেই রেখেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। সেটা আরও পোক্ত করেছে রায়ান বার্লের ব্যাটিং ঝড়। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে ১৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে সিলেটকে জয় এনে দেন জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটার। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলে মাশরাফি বিন মুর্তজার শততম ম্যাচ রাঙিয়ে রাখলেন শান্ত-বার্লরা। এ ছাড়া ফরচুন বরিশালকে হটিয়ে আবারও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে সিলেট।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় সিলেটকে দারুণ এক শুরু এনে দিলেন শান্ত। মেহেদি হাসান রানার করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে চারটি চার মারেন বাঁহাতি এই ওপেনার। দলের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাটিং করছিলেন তিনি। শান্তর দারুণ ব্যাটিংয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৫ রান তোলে সিলেট। পাওয়ার প্লে শেষে সিলেটের ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বিজয়াকান্ত। ডানহাতি এই লেগ স্পিনারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তারই হাতে ক্যাচ দেন ১৮ বলে ১৫ রান করা তৌহিদ হৃদয়।

ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরলেও ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন মুশফিক। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৩৭ রান। শান্তর বিদায়ে ভাঙে তাদের এই জুটি। নিহাদ উজ জামানের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলা শান্ত। বাঁহাতি এই ব্যাটার ফিরলেও সিলেটের রানের চাকা সচল রাখেন বার্ল।

ইনিংসের ১৫তম ওভারে নিহাদের বলে রীতিমতো তাণ্ডব চালান জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটার। তিন ছক্কা ও দুই চারে নিহাদের সেই ওভার থেকে ২৯ রান এনেছেন বার্ল। তাতে শান্তর বিদায়ে সমীকরণ খানিকটা কঠিন হলেও বার্লের এমন ব্যাটিংয়ের পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় সিলেট। বার্লের ঝড় থামান বিজয়াকান্ত। ডানহাতি এই লেগ স্পিনারের বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন ৪১ রান করা এই ব্যাটার। এদিকে দারুণ ব্যাটিং করা মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে ৪১ রান করে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। মাশরাফির অফ স্টাম্পের বাইরের ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন উসমান খান। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে জাকির হাসান দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে শূন্য রানেই ফিরতে হয় চট্টগ্রামের এই ওপেনারকে। এরপর অবশ্য দারুণ জুটি গড়ে তোলেন মেহেদি মারুফ ও আফিফ হোসেন। শুরুর দিকে খানিকটা ধীরগতির ব্যাটিং করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি বাড়ান।

তানজিম হাসান সাকিবের তিন বলে টানা তিন চার মেরে হাতখুলে খেলা শুরু করেন মেহেদি। তানজিমের আরেক ওভারে মেরেছেন এক ছয় ও দুই চার। মোহাম্মদ আমিরের বলে এক রান নিয়ে ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডানহাতি এই ওপেনার। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন আফিফ। তবে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে আউট করে মেহেদির সঙ্গে তার ৮৮ রানের জুটি ভাঙেন আমির। বাঁহাতি এই পেসারের নিচু হওয়া ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৩৪ রান করা আফিফ।

চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ম্যাক্স ও’ডাউড। ইমাদ ওয়াসিমের অফ স্টাম্পের বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ১ রান করা এই ব্যাটার। তাতে মাত্র ৭ বলের মাঝে ৩ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। সবশেষ ম্যাচে অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস খেললেও এদিন ৪ রান করে আউট হয়েছেন কার্টিস ক্যাম্ফার। থিসারা পেরেরার বলে ডিফেন্স করে বল উইকেটে রেখে রান নিতে গিয়ে রান আউট হন তিনি। পেরেরার সেই ওভার দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে চট্টগ্রামের চাপ কমানোর চেষ্টা করেন শুভাগত।

শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক। খেলেছেন ২৯ বলে ৫৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। সমান তিনটি করে ছক্কা ও চার মেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তাকে সঙ্গ দেয়া মৃত্যুঞ্জয় অপরাজিত ছিলেন ১৫ রানে। সিলেটের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন ইমাদ।