বিপিএল

মাঠ থেকে সাকিব-তামিমদের বিদায় চান মাশরাফি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:12 বৃহস্পতিবার, 26 জানুয়ারি, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

মাশরাফি বিন মুর্তজা সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে। এরপর আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখা যায়নি দেশ সেরা এই অধিনায়ককে। বেশ কয়েকবার তাকে মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হলেও হাসিমুখে এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বৃহস্পতিবার মাশরাফি জানিয়েছেন তিনি মাঠে থেকে বিদায় নেয়ার আশা করেন না। বোর্ডের কাছ থেকে কোনোকিছু প্রত্যাশাও করেন না তিনি।

বাংলাদেশের খুব বেশি ক্রিকেটারের সুযোগ হয়নি মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার। যদিও বাংলাদেশের উচিত সেই সংস্কৃতি তৈরি করা এমনটাই মনে করেন মাশরাফি। নিজে মাঠ থেকে বিদায় না পেলেও সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের মাঠ থেকে বিদায় চান বাংলাদেশের এই কিংবদন্তি পেসার। বিশেষ করে দেশের ক্রিকেটের জন্য তাদের যে অবদান তাতে এমন সম্মান তাদের প্রাপ্য বলে বিশ্বাস মাশরাফির।

তিনি বলেন, 'হ্যাঁ অবশ্যই ওই সংস্কৃতিতে যাওয়া উচিত, ওই সংস্কৃতি সেট আপ করা দরকার। যারা আছে এখন, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ, তামিম, কেউ স্বীকার করুক বা না করুক; তারা বাংলাদেশের কিংবদন্তি। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। তাদের ক্ষেত্রে যেন ওই সুযোগ বাংলাদেশের মানুষ পায়...তারা যেন ওই সম্মানটা নিয়ে মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারে। দীর্ঘদিন, দীর্ঘসময় তারা শ্রম দিয়েছে। অনেক কিছু ত্যাগ করেই সময় দিয়েছে। মানুষ তো হিসাব করে কত টাকা পেল। কিন্তু তারা যে শ্রম দিয়েছে, দিনের পর দিন ত্যাগ করেছে, এটা কেউ জানে না। ওই সম্মানটা যেন তারা পায়। যারা মধ্য বয়সে আছে, তরুণ আছে, তারা যেন বিশ্বাসটা আসে, আমাদের দেশ থেকে এতটুকু সম্মান নিয়ে যেতে পারবো।'

ইনজুরির কারণে মাশরাফির টেস্ট ক্যারিয়ার থেমে গিয়েছিল সেই ২০০৯ সালে। এরপর ২০১৭ সালে অধিনায়ক হিসেবে  দারুণ পারফরম্যান্স করার পরও রীতিমতো মাশরাফিকে বাধ্য করা হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে বিদায় নিতে। যদিও সেই আক্ষেপ নিয়ে কোনো সময়ই মুখ ফুটে কিছু বলেননি তিনি।

অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর ওয়ানডে দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে অবশ্য অনেক সময়ই হতাশা উঠে এসেছে মাশরাফির মুখে। তৎকালীন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তাকে চায়ের দাওয়াত দিলেও সেই দাওয়াত রক্ষা করেননি বলে একবার আক্ষেপ করেছিলেন তিনি। এসব নিয়ে আর কথা না বললেও মাশরাফি জানিয়েছেন কারো কাছে কোনো কিছুই প্রত্যাশা করেন না তিনি। 

মাশরাফি বলেন, 'কোনো প্রত্যাশা নিয়ে আসিওনি, যাইতেও চাইনি। তিন বছর আগেও এই প্রত্যাশা নিয়ে এখান থেকে যাইনি যে আমাকে ক্রিকেট বোর্ড থেকে বা কোনো জায়গা থেকে কী দেবে সেই আশায় আমি বসেছিলাম না। আগেও বললাম আমার হ্যাপিনেস আমার কাছে, হ্যাপিনেস কারো কাছে বিক্রিও করতে আসিনি, কিনতেও আসিনি। আমার যেটা মন চেয়েছে, যেটা মনে করি ঘরে গিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারবো ঘরে গিয়ে, সেটাই করেছি ক্রিকেটের ক্ষেত্রে। এজন্য আমি কারো কাছে কিছু আশা করি না। সত্যি বললাম, হাজারবার বললে হাজারবারই বলবো আমি কিছুই আশা করি না।'