|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সমালোচনার স্বীকার হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মূলত অফ ফর্ম ও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে না পারায় তাকে বিভিন্ন সময়ে ট্রল ও সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
যদিও সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই বাজে ফর্ম পেছনে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন শান্ত। ফর্মের ধারাবাহিকতা আছে চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আসরেও। নিজেকে সমালোচনার ঊর্ধে মনে না করলেও গঠনমূলক সমালোচনার অনুরোধ করেছেন তিনি।
ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৬৬ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন শান্ত। এই ইনিংস খেলার পথে একটি ছক্কা ও ১১টি চার মেরেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ সেরাও হয়েছেন শান্ত। এরপরই সমালোচনা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
শান্ত বলেন, 'আমি এটা বলছি না যে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। আমি খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হবে। তবে আমি মনে করি আরেকটু শালীনভাবেও হতে পারত। যেটা আমার পরিবারের জন্য ভালো হতো। এতোটুকুই।'
ব্যাট হাতে পারফর্ম করতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না শান্ত। এক সময় ফর্ম না থাকলেও নিজেকে শাণিত করতে নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন তিনি। এরই ফল দেখতে পাচ্ছেন সাম্প্রতিক সময়ে। সমালোচকদের কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও সবাইকে সচেতনভাবে মন্তব্য করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শান্তর ভাষ্য, 'আমি যেটা বললাম এটা আসলে আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। অনেকে না জেনে, অনেকে না বুঝে হয়তো কথা বলে ফেলে। দলের পরিকল্পনা, আমার পরিকল্পনা কিংবা আমি কতটুকু হার্ড ওয়ার্ক করি সেটা হয়তো অনেকে জানে না। জানার প্রয়োজনও নেই। এটা নিয়ে আসলে যত বেশি কথা আমি বলব, কথা বলাই হবে। এটা যার যার চিন্তা ভাবনা। সে যদি বুঝে কথা বলে, জেনে কথা বলে তাহলে আমার মনে হয় ভালো।'
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার কারণের শান্তর চেয়ে বেশি ভুগতে হয়েছে তার পরিবারকে। এসব দেখে তারাও কষ্ট পান, তাদেরও খারাপ লাগে। মূলত এ কারণেই শান্তর মাঝেও হতাশা চলে এসেছিল। তবে ফর্ম ফিরে পেয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
শান্তর ভাষ্য, 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়গুলো আমার জন্য যতটা কঠিন, আমার পরিবারের জন্য তার চেয়ে বেশি কঠিন। আমি যেভাবে বুঝি আমার পরিবারের সদস্যরা কিন্তু সেভাবে বোঝে না। তারা দুঃখ হয়, তারাও কষ্ট পায়, খারাপ লাগে। তারাও বাইরে যায়। এই জিনিসটার জন্য আমি মাঝে মাঝে হতাশ হয়েছি। আমারও খারাপ লেগেছে।'