বিপিএল

সাকিব-ইফতিখারের ঝড়ে উড়ে গেলো রংপুর

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:11 বৃহস্পতিবার, 19 জানুয়ারি, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ উভয় ওভারেই জোড়া উইকেট হারিয়েছিল ফরচুন বরিশাল। ৪৬ রানের মধ্যেই চার ব্যাটারকে হারিয়েছিল বরিশাল। কিন্তু এরপর পঞ্চম উইকেটে সাকিব আল হাসান-ইফতিখার আহমেদের অবিচ্ছিন্ন ১৯২ রানের জুটিতে রান পাহাড় গড়ে বরিশাল। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটাররই এদিন নিজেদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন। আর তাতে ২৩৮ রান তোলে সাকিবের দল। যা বিপিএলে ইতিহাসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশালের রান পাহাড়ে রীতিমতো চাপা পড়েছে রংপুর। 

২৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধুকেছে রংপুর। উদ্বোধনী জুটিতে ২৮ রান তোললেও কেউই সাবলীল ব্যাটিং করতে পারেননি। রনি তালুকদারের ব্যাট থেকে এসেছে ১১ রান। আর সায়িম আইয়ুব সাজঘরে ফিরেছেন ১৮ রান করে।

এরপর পারভেজ হোসেন ইমন কিংবা শোয়েব মালিকের কেউই সুবিধা করতে পারেননি। এই দুইজন দ্রুত সাজঘরে ফিরলে ৬০ রানের মধ্যেই চার উইকেট হারায় রংপুর। এরপর নাঈম শেখ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, শামিম হোসেনরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন, তবে তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

নাওয়াজের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ রান। আর শামিম করেছেন ৪৪* রান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তোলেছে রংপুর। আর তাতে ৬৭ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে সাকিবের দল। 

এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ এবং এনামুল হক  বিজয়। তবে এই দুই ব্যাটারের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বিজয়কে সাজঘরে ফিরিয়ে বরিশাল শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন হারিফ রউফ। একই ওভারের চতুর্থ বলে ইব্রাহিম জাদরানকেও ফিরিয়েছেন এই পাকিস্তানি পেসার।

পঞ্চম ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর, পরের ওভারেই আরও দুই উইকেট হারায় বরিশাল। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে ফিরেছেন যথাক্রমে মিরাজ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর তাতে ৪৬ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় সাকিব আল হাসানের দল।

এমন পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তোলেন সাকিব আল হাসান এবং ইফতিখার আহমেদ। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের ১৯২ রানের জুটিতে আবারও ম্যাচে ফেরে বরিশাল। যেখানে শামিম পাটুয়ারীকে ১৩তম ওভারে চার ছক্কা হাঁকান ইফতিখার।

২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। আর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৪৫ বলে। শেষ পর্যন্ত ৪ চার ও ৯ ছক্কায় ৪৫ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর সাকিব অপরাজিত ছিলেন ৪৩ বলে ৮৯ রান করে।