বিসিএল

আশরাফুলের আক্ষেপের দিনে সেঞ্চুরির কাছে জহুরুল, উজ্জ্বল সুমন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:44 সোমবার, 26 ডিসেম্বর, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

নাজমুল ইসলাম অপুর গুড লেংথ ডেলিভারিতে সলিড ডিফেন্স করতে চাইলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ব্যাটও পেতে দিয়েছিলেন তবে বল ফাঁকি দিলো অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ব্যাট। বল প্যাডে লাগতেই অপুর আবেদন, আম্পায়ারও আঙুল তুললে দিলেন। তাতে হাফ সেঞ্চুরি থেকে একরান দূরে থাকতে সাজঘরে ফিরলেন আশরাফুল। ডানহাতি এই ব্যাটারের আক্ষেপের দিনে সেঞ্চুরির কাছে জহুরুল ইসলাম অমি। কক্সবাজারে প্রথম দিন শেষে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের পুঁজি ৬ উইকেটে ২৬২ রান। দারুণ ব্যাটিং করা জহুরুল অপরাজিত রয়েছেন ৯১ রানে।

কক্সবাজারে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ড খেলতে নেমে ইস্ট জোনকে বেশ ভালো শুরু এনে দেয়ার চেষ্টা করলেন নাইম শেখ ও রনি তালুকদার। নবম ওভারের শেষ বলে সুমন খানের অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরের বল খেলারই চেষ্টা করলেন না নাইম। দারুণ এক টার্ন নিয়ে সুমনের গুড লেংথ ডেলিভারি আঘাত হানল বাঁহাতি এই ব্যাটারের স্টাম্পে। বোল্ড হওয়া নাইম ফেরেন ২০ রানে।

পরের ওভারে সাজঘরে ফিরেছেন আরেক ওপেনার রনি। স্পিনার নাহিদুল ইসলামের বলে সুইপ করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। নিজেকে বাঁচাতে একেবারে জড়োসড়ো হয়েছিলেন শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা অমিত হাসান। অদ্ভুতভাবে বল আটকে যায় তার কাছে। ফলে ৩৩ বলে ৯ রান করে ফিরে যেতে হয় রনিকে। সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা পারভেজ হোসেন ইমনও।

নাহিদুলের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে থাকা এনামুল হক বিজয়ের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ১৯ বল খেলা ইমন আউট হয়েছেন ৯ রানে। এরপর অবশ্য দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন শাহাদাত হোসেন দিপু এবং জহুরুল। ৮৩ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন তারা দুজন। সুমনের বলে লেগ বিফোর উইকেট হওয়ার আগে ৭১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দিপু।

৯৪ বল খেলা এই ব্যাটার ৬টি চার এবং একটি ছক্কায় খেলেছেন ৬০ রানের ইনিংস। দিপু আউট হওয়ার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন জহুরুল। বিজয়ের বলে ডিপ এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে ১২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। জহুরুলকে সঙ্গে দিয়ে বেশ ভালো ব্যাটিং করছিলেন আশরাফুল। তবে হাফ সেঞ্চুরির আগে অপুর বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। এদিন ৪৯ রান করেছেন এই ব্যাটার।

আশরাফুলের বিদায়ে ভাঙে জহুরুলের সঙ্গে তার ৯৬ রানের জুটি। আশরাফুল বিদায়ের পর দ্রুতই আউট হয়েছেন রুবেল মিয়া। ১৫ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেছেন সুমন। শেষ বিকেলে ইস্ট জোনকে আর কোন উইকেট হারাতে দেননি জহুরুল ও নাঈম হাসান। ইস্ট জোনের ৬ উইকেটে ২৬২ রানে শেষ করার দিনে জহুরুল ৯১ এবং নাঈম অপরাজিত রয়েছেন ২ রানে। বিসিবি সাউথ জোনের হয়ে সুমন তিনটি আর নাহিদুল নিয়েছেন দুটি উইকেট।