বিসিএল

ব্যর্থ সৌম্য-জয়, চট্টগ্রামে একদিনে নেই ১৫ উইকেট

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:30 সোমবার, 26 ডিসেম্বর, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

উইকেটে হালকা ঘাষের ছোঁয়া পেতেই জ্বলে উঠলেন মুশফিক হাসান-আবু হায়দার রনিরা। বিসিবি সেন্ট্রাল জোনের পেসারদের তোপে দাঁড়াতেই পারলেন না মাহমুদুল হাসান জয়-তানজিদ হাসান তামিমরা। জ্বলে উঠতে পারেননি সেন্ট্রাল জোনের সৌম্য সরকার-নাসির হোসেনরা। তাতেই বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথমদিনে ১৫ উইকেট হারালো দুই দল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দলকে প্রত্যাশিত শুরু এনে দিতে পারলেন না জয়-তৌফিক খান তুষাররা। ইনিংসের চতুর্থ বলেই সাজঘরে ফেরেন জয়। মুশফিকের অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরের গুড লেংথ ডেলিভারি ভেতরে ঢুকলে তা ব্যাটে-বলে করতে ব্যর্থ হন ডানহাতি এই ওপেনার। তাতে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের টেস্ট একাদশ থেকে জায়গা হারানো জয়।

আবু হায়দারের দ্বিতীয় বলে লং অন দিয়ে চার মেরে নিজের রানের খাতা খোলেন তৌফিক। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডানহাতি এই ওপেনার। এক বল পরই বাঁহাতি এই পেসারের মিডল স্টাম্পে পড়া ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪ রান করা এই ব্যাটার। রানের খাতা খোলার আগেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন তানজিদ তামিম। মুশফিকের শর্ট লেংথ ডেলিভারি আঘাত হানে বাঁহাতি এই ব্যাটারের কাঁধে।

এরপর সেখানেই বসে পড়েন তানজিদ। ফিজিও এসে সেবা-শুশ্রুষা করার পরও ব্যাটিং করতে পারেননি তরুণ এই ক্রিকেটার। এদিকে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন নাঈম ইসলাম। আবু হায়দারের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৭ রান করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। নাসিরকে থিতু হতে দেননি সৌম্য। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল খেলতে গিয়ে থার্ডম্যানে থাকা আব্দুল মজিদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১২ রান করা নাসির।

ডানহাতি এই ব্যাটার আউট হওয়ার পর ৫৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাইফ হাসান। দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করা সাইফ সাজঘরে ফিরেছেন ৭৩ রানে। বাকি কোন ব্যাটারই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। তাতে ১৬৯ রানে অল আউট হয় বিসিবি নর্থ জোন। দারুণ বোলিংয়ে সেন্ট্রাল জোনের হয়ে মুশফিক ও আবু হায়দার তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।

নর্থ জোনের ১৬৯ রানের জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেননি নর্থের দুই ওপেনার মজিদ এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তাদের জুটি ভাঙেন নাহিদ রানা। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে আকবর আলীর গ্লাভসে ক্যাচ দেন মজিদ। আরেক ওপেনার মামুন আউট হয়েছেন ৯ রানে।

নাইম আহমেদের বলে লেগ বিফোর উইকেট হতে হয় তাকে। সৌম্য ভালো শুরুর আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। সালাউদ্দিন সাকিলের বলে মিড উইকেটে থাকা নাঈমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৯ রান করা সৌম্য। সালমান হোসেন ইমন আর শুভাগত হোমও ভালো করতে পারেননি। শেষ বিকেলে জাকের আলী অনিক এবং শরিফুল্লাহ দারুণ ব্যাটিং করেন। দিনশেষে ৫ উইকেটে ১২৮ রান তোলে সেন্ট্রাল জোন।