|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথমদিনই সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন মার্নাস ল্যাবুশেন এবং ট্রাভিস হেড। দ্বিতীয় দিনে দুইজনই দেড়শ স্পর্শ করেছেন। এই দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৫১১ রান তোলে ইনিংস ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। আর শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে অজিদের রান পাহাড়ের চাপে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে গেছে ক্যারিবিয়ান টপ অর্ডার। দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তোলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার দ্বিতীয় দিনে যেন নতুন করে শুরু করেন। ল্যাবুশেন-হেডের দুর্দান্ত জুটিতে সকালটা দারুণভাবে কাটিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে দ্রুত গতিতে রান তুলেছে দল। শেষ পর্যন্ত ল্যাবুশেনকে সাজঘরে ফিরিয়ে অজিদের সেই রান বন্যায় বাঁধ দেন ডেভন থমাস।
ল্যাবুশেনের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬৩ রান। এমন ইনিংসে রেকর্ড বইয়ের পাতা কাটা-ছেঁড়া করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ঘরের মাঠে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ গড়ের রেকর্ডটি বহুদিন ছিল স্যার ডন ব্রডম্যানের। এবার তার নাম কেটে সেখানে নিজের নাম লেখালেন ল্যাবুশেন।
এই টপ অর্ডার ব্যাটার আউট হওয়ার পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হেডও। তিনি সাজঘরে ফিরেছেন ২১৯ বলে ১৭৫ রান করে। এরপর ক্যামেরন গ্রিনও দ্রুতই সাজঘরে ফিরেছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯ রান।
লোয়ার মিডল অর্ডারে একমাত্র অ্যালেক্স ক্যারি ছাড়া আর কেউই খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ৪২৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো অজিরা পরের ৬১ রান যোগ করতে হারায় আরও ৩ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ৫১১ রান তোলে ইনিংস ঘোষণা করে তারা।
শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শামার ব্রুকস এবং জার্মেইন ব্ল্যাকউডরাও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তবে ব্যাতিক্রম ছিলেন ত্যাগনারায়ন চন্দরপল। এই তরুণ ওপেনারের অপরাজিত ৪৮ রানে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তোলে দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে প্রথম ইনিংসে এখনও ৪০৯ রানে পিছিয়ে আছে ক্যারিবিয়ানরা।