|| ডেস্ক রিপোর্ট
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। তাই তৃতীয় ওয়ানডেতে চাইলেই পরখ করে নিতে পারে বেঞ্চের শক্তিমত্তা। কিন্ত সেই পথে হাঁটছে না টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না তারা, ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুস্তাফিজ যখন মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গী হলেন তখনও বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫১ রান। হতাশা নিয়ে তখন গ্যালারি ছাড়তে শুরু করেছিলেন খেলা দেখতে আসা সমর্থকরা। তবে চাপের মাঝে দাঁড়িয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ক্রমশই দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকেন মিরাজ।
ডানহাতি এই ব্যাটারকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন মুস্তাফিজও। শেষ পর্যন্ত স্নায়ুচাপ সামলে ভারতের জয় ছিনিয়ে আনেন মিরাজ। এক উইকেটের জয়ে বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে নেন তিনি। এদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আবারও স্বাগতিকদের ত্রাণকর্তা মিরাজ। কার্যকরী হাফ সেঞ্চুরিতে তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিরাজের সেঞ্চুরির সঙ্গে শেষ দিকে নাসুম আহমেদের ক্যামিও বাংলাদেশকে বড় পুঁজি এনে দেয়। বাকি কাজটা সেরে বাংলাদেশকে সিরিজ জেতান এবাদত হোসেন-মুস্তাফিজরা।
দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জেতা বাংলাদেশের সামনে এবার সুযোগ হোয়াইটওয়াশের। এর আগে ২০১৫ সালেও ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের কাছে শেষ ম্যাচ হারায় বাংলাওয়াশ করা হয়নি ভারতকে।
ম্যাকডারমট বলেন, 'কাজটা এখনও শেষ হয়নি। আমরা কখনোই আন্তর্জাতিক ম্যাচ হালকাভাবে নেই না। এই দলটা ৩-০ ব্যবধানে কখনও ভারতকে হারায়নি। এটাই আমাদের বড় লক্ষ্য। আমরা যখন ৩-০ ব্যবধানে জিতবো, তখন অবশ্যই নিজেরা গর্ব খুঁজে পাবো।'
এর আগে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকেও ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। তবে ভারতের বিপক্ষে কখনোই এমন আধিপত্যের স্বাদ নিতে পারেননি সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমরা। এবার সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে সেটাই করতে চায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ বলেন, 'এর আগে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ( ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করেছিল) জিতেছিলাম। বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার খুব কাছে চলে গিয়েছিলাম। আমরা এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলছি এবং চাপের মুহূর্তে আমরা জিততে শুরু করেছি। আমি জানি, এই সিরিজ জয়ের পর ছেলেরা আরেকটি ম্যাচ জেতার জন্য আরও মুখিয়ে আছে।'